হযরত গাউছুল আজমের পাক তাওয়াজ্জুহ মরা ক্বলব জিন্দা করে – অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ্

মোঃ আলাউদ্দীন, চট্টগ্রাম ব্যুরো :

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্ল¬ুহুল আলী বলেছেন, মানবদেহের অভ্যন্তরে রয়েছে এক টুকরো মাংসপিন্ড। যা পবিত্র হলে সমগ্র শরীর পবিত্র, আর অপবিত্র হলে সমগ্র শরীর অপবিত্র। আর এ মাংসপিন্ড হল ‘ক্বলব’। একটি লোহার টুকরাকে দীর্ঘদিন খোলা বাতাসে রেখে দিলে এতে যেমন বাদামী রঙয়ের আস্তরণ তথা মরিচা পড়ে, তেমনি ক্বলবে আল্লাহর জিকির বাস্তবায়িত না হলে শয়তানের কুমন্ত্রণা দ্বারা তা কলুষিত হয়ে যায়। সেই ক্বলব শয়তানের আবাসস্থলে পরিণত হয়। হযরত রাসূলে কারীম (দঃ) তাঁর সাহাবা হযরত উসমান বিন আবিল আস্কে তাওয়াজ্জুহ প্রদানের মাধ্যমে অন্তর থেকে ‘কিন্জব’ নামক শয়তানকে বিতাড়িত করেন। তেমনিভাবে হযরত গাউছুল আজম তাওয়াজ্জুহ তথা অন্তরদৃষ্টি প্রক্ষেপনের মাধ্যমে কলুষিত ক্বলবকে পরিশুদ্ধ করেন। ফলে ঐ ব্যক্তির ক্বলব আল্লাহর জিকিরে সরব হয়। প্রিয় নবিজীর মুহাব্বতে ভরপুর হয় হৃদয়, অন্ধকার দূরীভূত হয়ে অন্তরে মারেফাতের সূর্য উদিত হয়। যার তেজদীপ্ত আলোতে অন্তরজগৎ আলোকিত হয়ে যায়, সমাজে ঐ ব্যক্তি পরিচিতি লাভ করে আলোকিত মানুষ হিসেবে।

তিনি গতকাল ২৫ জানুয়ারী শুক্রবার বাদে জুমা চট্টগ্রাম রাউজান নোয়াজিশপুর অদুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার নবীপ্রেমিকের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি আরও বলেন, হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর পাক তাওয়াজ্জুহের বদৌলতে একজন তরিক্বতপন্থীর আপাদমস্তক আল্লাহর জিকিরে মশগুল হয়। এভাবে তিনি এলমে আসরার তথা গোপন এলম প্রদানের মাধ্যমে তরিক্বতপন্থীদের ‘সুলতানুল আসকার’ হিসেবে গড়ে তোলেন। অতএব বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল যুবসমাজকে সঠিকপথে ফিরিয়ে আনতে হযরত গাউছুল আজমের তাওয়াজ্জুহভিত্তিক এ মহান সিলসিলার বিকল্প নাই।

মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১০৩নং নোয়াজিষপুর দলইনগর শাখার উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও খলিলুল্লাহ আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর স্মরণে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

১৫নং নোয়াজিষপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সরোয়ার্দী সিকদারের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ অলি আহাদ প্রমুখ।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সভাপতি হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফী, সংগঠনের এশায়াত সম্পাদক হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী, আল্লামা মুহাম্মদ শাহজাহান নোমান, মাওলানা মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *