নিউজ ডেস্কঃ
ছাগলনাইয়ায় মায়ের নির্যাতনের শোধ নিতে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ছেলে আবুল হাসান। গত কাল ১২ জানুয়ারি শনিবার ফেনীর একটি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানিয়েছে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর। এর আগে গত শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন থানার ওসি এম এম মুর্শেদ। এ সময় তিনি বলেন, উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মধু গ্রামের আবুল কালাম নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ছেলে আবুল হাসানকে পুলিশের সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক তাকে আটক করা হয়। পরে হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
হত্যার কারণ হিসেবে হাসান জানায়, তার বাবা পাঁচ ভাই বোনের সামনে তার মা রেখা আক্তারকে সব সময় নির্যাতন করত। এ বিষয়টি বড় ছেলে হয়ে তার কাছে অপমান জনক মনে হতো। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফের তার মাকে প্রহার করলে, তার মা’সহ ছোট চার ভাই বোনকে ফেনীর পাঁচগাচিয়া নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে।
পরে বাবাকে শায়েস্তা করতে হাসান তার তিন বন্ধুর সঙ্গে পরিকল্পনা করে। ওই রাত ৯টার দিকে হাসান তার তিন বন্ধুকে নিয়ে ঘরে ঢুকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে আবুল কালামকে পেছন দিকে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তিনি জ্ঞান হারালে তাকে মৃত ভেবে পাশের বাড়ির আবু তাহেরের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। গত বৃহস্পতিবার আবু তাহেরের স্ত্রী ট্যাঙ্কের মুখ আলগা দেখে তা খুললে কালাম হত্যার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আটক কিশোর হাসান শুক্রবার থানায় এ প্রতিবেদককে জানায়, বাবাকে শিক্ষা দিতে মারতে গিয়ে অসাবধানতায় তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল কালামের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনকে আসামি করে এর আগেই থানায় মামলা করেন। জরিনা জানান, তার ভাইয়ের খুনিদের বিচার দাবি করেন।
ওসি এমএম মুর্শেদ জানান, এ ঘটনায় উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কৈয়ারা গ্রামের ওসমান গনির ছেলে ইমাম হোসেন রহিমকেও আটক করা হয়। খুনের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।