নিউজ ডেস্কঃ
দল বদলেই তিনি বারবার এসেছেন আলোচনায়। তবে ‘লাশ ফেলার’ নির্দেশ দিয়েও বেশ কয়েকবার হয়েছেন আলোচিত- সমালোচিত। ভাইবারে নাশকতার নির্দেশ দিয়ে পেয়েছেন নতুন ডাকনাম। রসিকজনেরা তাকে এখন ডাকেন ‘ভাইবার মান্না’।
তবে রাজনীতিতে মান্না কোন ‘রসিক চরিত্র’ নন। বারবার দল পরিবর্তনে গায়ে লাগিয়েছেন ‘দলছুট’ এর ট্যাগ। এছাড়াও নাশকতার পরিকল্পনা করতে কিংবা নাশকতার ইন্ধন জোগানে মান্নার জুড়ি মেলা ভার। ছাত্র কিংবা জনতার লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাবার ফন্দি আঁটছেন দীর্ঘবছর যাবতই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইবারের মাধ্যমে এক ফোনালাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার খায়েশ প্রকাশ করে পেয়েছেন ‘ভাইবার মান্না’ খেতাবও। এই ভয়ংকর পরিকল্পনার দায়ে জেলও খেটেছেন, কিন্তু স্বভাব বদলায়নি। তথাকথিত ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় ‘চোঙ্গা’ মান্না দিনরাত আওড়ে যাচ্ছেন গালভরা বুলি।
একসময় ছাত্রলীগ করতেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীকালে ডাকসুর সহসভাপতি (জাসদ ছাত্রলীগ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, বাসদ ছাত্রলীগ কোনখানেই থিতু হননি। আবারও ফেরেন আওয়ামী লীগে,পান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে। বগুড়া-২ আসনে একাধিকবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেও জিততে পারেননি তিনি। ২০০৭ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আওয়ামী লীগে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়েন মান্না। দলবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে করে ফায়দা হাসিল না হওয়ায় দল থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করেন নাগরিক ঐক্য।
কিন্তু বিধিবাম! জনবিচ্ছিন্ন এই নেতা সেখানেও সুবিধে করতে পারেননি। এখন তিনি আবির্ভূত হয়েছেন ‘বিএনপি-জামায়াত রাজাকারগোষ্ঠী’র একনিষ্ঠ সহচর হিসেবে। ২০১৪ সালে দেশজুড়ে চালানো আগুনসন্ত্রাস ও মানুষ পুড়িয়ে মারার নৃশংসতম ঘটনাগুলোতেও ছিল এই জ্ঞানপাপী মান্নার সরাসরি মদদ।
তিনি ঘোষণা করেছেন বেগম জিয়াকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরবেন না, প্রয়োজনে জীবন দেবেন।
আইনের স্বাভাবিক গতি মেনে সম্পন্ন হওয়া বিচারকার্যে দণ্ডিত খুনী খালেদা আজও জেলে। সাজার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি যে জেলেই থাকবেন, এটাই তো রীতি। তাই আগামী দিনগুলোতে ভাইবার মান্না কী করেন, সেটাই দেখার বিষয়।