জেল থেকে ভাইকে ছাড়াতে বোনকে পুলিশের কু-প্রস্তাব

সাহেদ সাব্বির– নাটোরের লালপুর থানার কনস্টেবল সালামের বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দিয়ে এক নারীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের হাতে আটক ভাইকে ছাড়াতে সহায়তা করার বিনিময়ে কু-প্রস্তাব দেন থানার ওই কনস্টেবল। ইতিমধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিপক্ষের দেয়া এক হয়রানিমূলক মামলায় জামিনে থাকা লালপুর বিশ্বম্ভরপুর গ্রামের বাসিন্দা ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের এক ছাত্রকে ২৭ জানুয়ারি ডেকে নিয়ে যায় লালপুর থানা পুলিশ। পরদিন একটি চুরি মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয় রমজানকে। তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে নিজের নাম গোপন করে মোবাইল নম্বর রেখে দেয় কনস্টেবল আবদুস সালাম। পরে মোবাইল ফোনে সহায়তা করার বিনিময়ে ওই নারীকে সে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দেয়। পুলিশের এ ধরনের আচরণে ওই নারীর পরিবার ও এলাকাবাসী বিস্মিত হন।
এ ব্যাপারে জানতে লালপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে মোবাইলে কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করলেও কু-প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল।
কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তথ্য-চিত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের কাছে মোবাইলে অডিও রেকর্ডিংয়ের কথা আছে জানালে কনস্টেবল আবদুস সালাম সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন। থানায় কার অনুমতি নিয়ে ঢুকেছে বলেও সে প্রশ্ন তোলে। ওসির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও আটকে দেয় সালামসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা।
থানার বাইরে থেকে মোবাইলে ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওসি আবু ওবায়েদ জানান, ওই মহিলার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পারিবারিক, মোটেও কোনো হয়রানিমূলক নয়, মহিলার বিরুদ্ধে গরু চুরির দুটি মামলার একটিতে পাঁচটি গরু উদ্ধারও করা হয়েছে।
এছাড়া কনস্টেবল আবদুস সালামের নামে তার কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি তাই এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলেও জানান।
পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *