ড. কামাল কি শেষ পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গেই ঐক্য করলেন?

নিউজ ডেস্ক :

ড. কামাল প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন “জামায়াত সঙ্গে থাকলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য নয়। জামায়াত থাকলে আমার দল তাদের সাথে ঐক্য প্রক্রিয়ায় যাবে না। সারা জীবনে কখনো জামায়াতের সঙ্গে যাইনি, শেষ জীবনে এসে সেটা করতে যাব না”।

তবে ১৩ অক্টোবর বিএনপিকে সঙ্গে নিয়েই ঐক্যের ঘোষণা দেন ড. কামাল হোসেন। ঐক্যের নাম রাখা হয় ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা জামায়াত এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গেই জোটবদ্ধ আছে। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বিষয়টি প্রবলভাবে উচ্চারিত হচ্ছে যে, ড. কামাল পরোক্ষভাবে স্বাধীনতাবিরোধী অর্থাৎ জামায়াতের সাথেই ঐক্য করেছেন।

ঐক্যের আলোচনার শুরু থেকেই ছিল জামায়াত প্রসঙ্গ। ড. কামাল বরাবরই স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোটে আপত্তি তুলেছিলেন। তবে ঐক্যের মধ্যস্থতা করা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর একটি কৌশলে অবশেষে জামায়াত প্রসঙ্গ ছাড়াই বিএনপির সঙ্গে জোট করলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ‘বিএনপি এখানে একটি কৌশল করেছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য তাদের সঙ্গে ঐক্য, আর ভোটের রাজনীতির জন্য জামায়াতকে তাদের দরকার। আগামী নির্বাচনে জামায়াতের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে বিএনপির। তারা ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতি করে। এছাড়া সারা দেশে কিছু আসনে জামায়াতের পাঁচ শতাংশ ভোটে বিএনপির জয়-পরাজয়ের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে ঐক্য করলে সরকারি দল সুবিধা পাবে। সেই জায়গা থেকে জামায়াতকে ছাড়ছে না বিএনপি’।

স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে রেখেই বিএনপির সাথে জোট করায় ড. কামাল ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *