কে দিয়েছিল বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি? ভারত নাকি ভুটান?

বাংলার দর্পন ডেস্কঃ
অনেকদিন ধরেই আন্তর্জালে এ নিয়ে বিভ্রান্তি বয়ে বেড়িয়েছে বাঙালি। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আমরা চোখ বোলাতে পারি ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে প্রকাশিত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রথম বর্ষ সপ্তম সংখ্যায় প্রকাশিত একটি খবরে, যার শিরোনাম ছিল, ” বিশ্ব মানচিত্রে নতুন চিত্র বাংলাদেশ”
”আমাদের মহান বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ভারতের লোকসভায় গত ৬ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ সরকারকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। ভারত সরকারের সময় উপযোগী এই স্বিদ্ধান্ত সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের এক বিজয় ঘোষিত হলো। শ্রীমতি গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির জনক’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন। ভারতের লোকসভায় বিশাল হর্ষধ্বনি ও করতালির মাধ্যমে মিসেস গান্ধীর এই ঐতিহাসিক ঘোষণাকে সংসদের অধিকাংশ সদস্যবৃন্দ সমর্থন জানান। এই ঘোষণার পর সভার সদস্যগণ আনন্দের প্লাবনে এমনভাবে আত্মহারা হয়ে পড়েন যে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই সভার কাজ স্থগিত হইয়া যায়। এরপর লোকসভার সদস্যবৃন্দ নয়াদীল্লিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধির সহিত করমর্দনের মাধ্যমে বাংলার জনগণ ও তার জনক শেখ মুজিবকে অভিনন্দন জানান। ভারতের এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পৃথিবীর অন্যান্য স্বাধীনচেতা জাতিগুলি এগিয়ে আসছে ও আসবে। আর ভারতের এই দৃষ্টান্ত অনুসরন করলো ভুটান। ভূটানের মানবপ্রেমিক রাজা মিঃ জিগনে ওয়ানচুক বাংলাদেশের বাস্তব অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ সরকারকে বৈধ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র ষষ্ঠ খন্ড ৩৮৬ পৃষ্ঠা থেকে বলছি
ছবিঃ ১৬ই মে, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে হাস্যজ্জ্বল শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী, প্রতীকি অর্থে ব্যবহারর হয়েছে
Related News

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের এইRead More

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ | বাংলারদর্পণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফরRead More