আবদুল্লাহ রিয়েল,নিজস্ব প্রতিবেদক: চন্দ্রা-নবীনগর ঢাকা মহাসড়ক দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। আর এই মহাসড়কের পাশেই রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে।
তার মধ্যে আশুলিয়ার কবিরপুর অঞ্জনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শত শত শিক্ষার্থীরা মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে।
মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। পর্যাপ্ত পরিমাণে কোন ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডার পাস নির্মান না করায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছে মহাসড়কে। যে হারে যানবাহন চলছে তার তুলনায় এই ফুটওভার ব্রীজ খুবই নগন্য। জানা যায়, ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে অনাকাঙিক্ষত সড়ক দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে।
ওভারপাস বা আন্ডারপাস ছাড়া এই চারলেইনে যানবাহন চলাচল শুরু করায় এ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কিভাবে বিদ্যালয়ে যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা। এ জন্য তারা মহাসড়কে পাশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের পারাপারের সুবিধার্থে আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।
এই বিষয়ে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মশিউর রহমান মিন্টু বলেন, সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে গিয়ে টেনশনে থাকতে হয়। তার মধ্যে আগে ছিল দুই লেন, এখন চার লেন হওয়ায় আরো বেশি দুঃচিন্তায় থাকতে হয়। এ ব্যাপারে স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য তড়িৎভাবে রাস্তা পারাপারের জন্য পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রান্তা পারাপারের জন্য একজন কর্মচারী দায়িত্ব দেওয়া উচিত। স্কুল ছুটির পর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই রাস্তা পরাপার হয়। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ অংশে আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।