সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব রাজনৈতিক দল নিয়ে নির্বাচনের সময়কার সরকার গঠন হবে

নিউজ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব রাজনৈতিক দল যদি চায়, তাহলে তাঁরা তাদের প্রতিনিধি নিয়ে আগামী নির্বাচনের সময় সরকার গঠন করতে পারেন। তারা ক্ষমতাসীন বা বিরোধী দল কি না, সেটা কোনো বিষয় না।

গতকাল শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেওয়ার কথা লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, এবারের অধিবেশন ও বিভিন্ন ইভেন্টে রোহিঙ্গা সমস্যার কথা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বার্থেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে। এতে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা হয়নি। এই আইনে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকের কোনো ভয়ের কারণ নেই। আর সাংবাদিকেরাও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে জাতিসংঘে বৈঠক হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের পরে এখন সাইবার ক্রাইম বড় সমস্যা। এই সমস্যা বিশ্বের সব দেশেরই সমস্যা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই দেশে এত বিপুল মিডিয়া প্রকাশ-প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, অপরাধ কি শুরু রাজনীতিকেরাই করেন? সাংবাদিকদের দায়িত্বের সঙ্গে সামাজিক দায়িত্বও পালন করতে হবে, উসকানিমূলক খবর বন্ধ করতে হবে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নিউইয়র্কে বাড়ি ক্রয় ও দুর্নীতিসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিউইয়র্কে সহজেই বাড়ি কেনা যায়। আপনাদের কাছে প্রমাণ থাকলে দেন, ব্যবস্থা নেব।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিচারপতি সিনহা কীভাবে বই লিখলেন, কার পরামর্শে লিখলেন, অর্থ কোথায় পেলেন, খোঁজ-খবর নেন, আমরাও নিচ্ছি। তাঁর সঙ্গে কোনো সাংবাদিক বা মিডিয়া জড়িত আছে কি না, তাও খুঁজে দেখুন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন। তারা মন্ত্রী-এমপিকেও ছাড়ছে না। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে সরকার সহযোগিতা করবে।

অপর এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই বাংলাদেশ মিশন ক্রয় করেছি। নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ভবন ক্রয়ের চেষ্টা চলছে। তবে ভবন ক্রয় সহজ নয়, অনেক অর্থের প্রয়োজন। আর নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমান চলাচলের জন্য সংকটগুলো কাটিয়ে উঠেছি। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করেছি। জেএফকের অনুমতি পেতে চেষ্টা চলছে।’

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ১০০ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে প্রবাসীদের বিনিয়োগের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের মিশন ও কনস্যুলেটকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা এবং সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গড়া জোটে আমি যাই কী করে!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *