মুখ খুলতে শুরু করেছেন মিরুর হাতে নির্যাতনে শিকার যারা….

বাংলার দর্পন ডেস্ক:-
মেয়র মিরু ও তার ভাইদের হাতে বিগত দিনে নির্যাতিতরা এতোদিনে ভয়ে মুখ না খুললেও শিমুল হত্যার ঘটনায় মিরু গ্রেফতার হওয়ার পর তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। একইসঙ্গে তারা মেয়র মিরু ও তার ভাইদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

শাহজাদপুর পৌর এলাকার রূপপুর নতুনপাড়ার তাঁত শ্রমিক বাবুল হেসেন জানান, পৌর নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে মিরু ও তার দুই ভাই মিন্টু-পিন্টু শাহজাদপুরে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মিরুর ভাই মিন্টু সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে রূপপুর নতুনপাড়া গ্রামে ভোট চাইতে গিয়ে এলাকাবাসীকে নোংরা বস্তিবাসী বলে গালিয়ে দেয়। এ সময় তিনি প্রতিবাদ করে বলেন, ‘বস্তিবাসীর কাছে ভোট চাইতে এসেছেন কেন?’ এ কথা বলার পরই মিন্টুসহ সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধারে আবুল কালাম নামের অপর এক তাঁত শ্রমিক এগিয়ে এলে তাকেও তারা রাস্তায় ফেলে বুট দিয়ে লাথি মেরে গুরুত্বর আহত করে।

উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন শেখ জানান, নির্বাচনের দুদিন আগে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলামের নির্বাচনী কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিরুর ভাই মিন্টু তার উপর হামলা চালায়। হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তারা মাথা ফেটে যায়।

শাহজাদপুর পৌরসভার আলমাহমুদ জানান, নির্বাচনের দুদিন আগে মিরুর ভাই মিন্টু ও পিন্টু রাতের আঁধারে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তার বাড়িঘর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা। হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে লক্ষ করে প্রায় অর্ধশতাধিক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এসময় তিনি খাটের নিচে লুকিয়ে জীবন রক্ষা করেন।

একইভাবে রূপপুর নতুনপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ব্যাপারী, চা দোকানী হেলাল উদ্দিন ও মুদি দোকানী আবু সাঈদ জানান মিরু ও তার ভাইয়ের হাতে নির্মমভাবে নির্যাতিত হওয়ার কথা।

শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম জানান, শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তার শ্যালক বিজয় মাহমুদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। সে বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এ সকল নির্যাতিতরা মিরু ও তার ভাইদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *