বাংলার দর্পন ডেস্ক-
ত্মহত্যার আগে দুই দফায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন উঠতি মডেল জয়া শীল ওরফে জ্যাকুলিন মিথিলা। ওই দুটি স্ট্যাটাসে তিনি আত্মহত্যা করার কথা জানান। ওই দুই স্ট্যাটাস দেওয়ার দুই দিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। জ্যাকুলিন মিথিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলার পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামির হদিস পায়নি পুলিশ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পর ৩ ফেব্রুয়ারি নগরীর বন্দর থানায় মামলা করেন মিথিলার বাবা স্বপন শীল। ওই মামলায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ আটজনকে আসামি করা হয়। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বিকাশ সরকার বলেন, ‘জ্যাকুলিন মিথিলার বাবা আটজনকে আসামি করলেও কারও বিস্তারিত ঠিকানা দিতে পারেননি। তাই আসামি গ্রেফতার করা যায়নি। এরই মধ্যে আসামিদের ঠিকানাসহ বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন থানার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ’ স্বপন শীল বলেন, ‘৩ নভেম্বর দীর্ঘদিনের প্রেমিক খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা উৎপল রায়কে বিয়ে করেন মিথিলা। মিডিয়ায় কাজ করার কারণে স্বামীর পরিবার-পরিজন তাকে বাঁকা চোখে দেখে আসছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ফোন করে মানসিকভাবে নির্যাতন চালাত। এমনকি কিছুদিন ধরে উৎপলও তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন। উৎপল বাসাও পরিবর্তন করেন। সম্প্রতি ওই বাসায় যান মিথিলা। সেখানে কাউকে না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবজ্ঞা ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন মিথিলা। ’ বন্দর থানার পুলিশ জানায়, মিথিলার ঝুলন্ত লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পর তার ভালোবাসা কমে গেছে। ’ ওই চিরকুটে তার আত্মহত্যার জন্য মামলায় অভিযুক্ত আটজনকে দায়ী করা হয়েছে।
সেই দুই ফেসবুক স্ট্যাটাস : আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দুই দফা স্ট্যাটাস দেন উঠতি মডেল জ্যাকুলিন মিথিলা। তার মধ্যে প্রথমটা দেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘কালকে আমি আত্মহত্যা করব। কেউ আমাকে প্রত্যাখ্যান করে নাই। আমিও কাউকে প্রত্যাখ্যান করি নাই। কিন্তু আমি আত্মহত্যা করব। ’ দ্বিতীয় স্ট্যাটাসটি দেন ৩১ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে পা বাড়াচ্ছি। ’ স্ট্যাটাস দুটি দেওয়ার পর তার অনেক ফেসবুক ফ্রেন্ড আত্মহত্যা না করার অনুরোধ করেন। স্ট্যাটাস দেওয়া ওই ফেসবুক আইডি মিথিলার কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি তারা তদন্ত করছে।
কে এই জ্যাকুলিন মিথিলা : উঠতি মডেল জয়া শীলের জন্ম ফেনী জেলায়। তবে কৈশোরের শুরুতেই তিনি চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে চলে আসেন। বেড়ে উঠেছেন এ এলাকায়। তিনি প্রকৌশলবিদ্যায় পড়াশোনা করেছেন। চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় মডেলিংয়ে জড়িয়ে পড়েন জয়া। নাম ধারণ করেন জ্যাকুলিন মিথিলা। এরপর মডেলিং জগতে ক্যারিয়ার গড়তে ঢাকায় চলে যান। সেখানেই কয়েকটি ছবিতে আইটেম গানে মডেল হিসেবে অংশ নেন। সর্বশেষ পি এ কাজল পরিচালিত ‘চোখের দেখা’ ছবির আইটেম গানে নাচেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সংবাদ
সান্তা ক্লস জ্যাকুলিন
সেরা এন্টারটেইনার জ্যাকুলিন
গিনেস বুকে জ্যাকুলিন
জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে মামলা
বন্যার্তদের পাশে জ্যাকুলিন
Tweet
Google+ এ এটি শেয়ার করুন
শেয়ার করু
সর্বশেষ খবর
পুকুরে ভাসছে প্রাইভেট কার!
খাগড়াছড়িতে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
প্রবাসীরা রাজনৈতিক সংগঠন করার সুযোগ পাবেন: আইনমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
সন্তানকে বাঁচাতে সাপের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল মা-খরগোশ! (ভিডিও)
যে খাবারগুলি খালি পেটে নয়
সুযোগ পেলেই কুকুরের দুধ পান!
খিটখিটে স্ত্রীকে সামলানোর চার উপায়
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র রুখে দিবেন ট্রাম্প!
মেয়ের পক্ষ নিয়ে বিপাকে ট্রাম্প
যে কারণে নষ্ট হতে পারে প্রজনন ক্ষমতা
মার্কিন ভিসা পেতে লাগবে সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড!
জেলের ভাত খেতে হতে পারে সানিয়া মির্জার!
কোন চা সেরা!
এই পাতার আরো খবর
জঙ্গিবাদ রুখে দাঁড়ান
বছরে বেকার বাড়ছে ১১ লাখ
ছন্দে ফিরছে আয়োজন
হঠাৎ ইন্টার্নদের কর্মবিরতিতে বন্ধ রাজশাহী মেডিকেল
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের হাতছানি সাইপ্রাসে
গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বেই খুন স্কুলছাত্র আদনান
মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যা
দেশি প্রজাতির পাখি নীলাভ কীটকুড়ানি
২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৮তম অর্থনীতির দেশ
সংস্কারে ব্যর্থ গার্মেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে অ্যালায়েন্স
‘কেটে চার টুকরো করে মিয়ানমার বাহিনী’
এখন বাবুলকেই সন্দেহ শ্বশুরের
Works on any devices
সম্পাদক : নঈম নিজাম
ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পক্ষে ময়নাল হোসেন চৌধুরী কর্তৃক প্লট নং-৩৭১/এ, ব্লক-ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বারিধারা, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং প্লট নং-সি/৫২, ব্লক-কে, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, বাড্ডা, ঢাকা-১২২৯ থেকে মুদ্রিত।
ফোন : পিএবিএক্স-০৯৬১২১২০০০০, ৮৪৩২৩৬১-৩, ফ্যাক্স : বার্তা-৮৪৩২৩৬৪, ফ্যাক্স : বিজ্ঞাপন-৮৪৩২৩৬৫।
E-mail :
bdpratidin@gmail.com