নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে দুবাইয়ে ৮০ লাখ মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু। বেনামে বিদেশি অর্থ পাচার এবং সম্পদ গোপন রাখার অভিযোগে যেকোন মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অফশোর কোম্পানি খুলে বিদেশে ৮০ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের প্রায় ৬৫ কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করার অভিযোগে এর আগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। দুবাইয়ে পাচার করে অফশোর কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ, দুবাইয়ে আরও শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিগত বিএনপি সরকারের শাসনামলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে হরিলুটের নেতৃত্বে অন্যতম ছিলেন ফালু। শুন্য হাতে রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করা ফালু স্বল্প সময়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হন ফালু। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থকে রক্ষা করতে তিনি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের কমিশন বাণিজ্যের মূলহোতা তারেক রহমানকে টেন পারসেন্ট কমিশন দিয়ে অবৈধ চ্যানেলে দুবাইতে পাঠিয়ে অফশোর কোম্পানি খুলে বাণিজ্য শুরু করেন ফালু। এর পরে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। ফালু ভেবেছিলেন দুদক তার সম্পদের হদিস পাবেন না। তবে সরকারের সদিচ্ছায় দেশের মানুষের কষ্টের টাকায় উন্নয়নের নামে চুরি করা টাকার খোঁজ করতে গিয়ে ফালুর এই সম্পদের পাহাড় দেখতে পায় দুদক। দুদক এর আগেও তাকে তলব করে অবৈধ সম্পদের হিসাব চাইলে ফালু সদুত্তর দিতে পারেননি। দুদকের হাত থেকে বাঁচার জন্য ফালু একাধিকবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। ফালুর দূরভিসন্ধি বুঝতে পেরে তার পালিয়ে যাওয়া আটকাতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে দুদক।
ফালুর দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার বিষয়ে দুদকরে সহকারি পরিচালক আমিনুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে এই অর্থ বাহিরে পাঠিয়ে ব্যবসা করছেন। যেটি আইন বহিঃর্ভূত কাজ। তার মত একজন রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীর কাছে এটি আশা করা যায় না। তাকে অচিরেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাকে গ্রেপ্তারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেকোন সময়ে তাকে আটক করা হবে এবং প্রচলিত আইনে তার অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা হবে।