মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২নং চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হোসেন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের (নোয়াখালী) কাছে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন ৮ জন ইউপি সদস্য।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগষ্ট) অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কাছে সরাসরি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সদস্যরা। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও সচিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণচর, নোয়াখালী প্রেসকøাবে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরিষদের কার্যক্রমসমুহ সব উন্নয়ন প্রকল্প একক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন, উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিন্মমানের কাজ, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা আদায়, ওয়ান পার্সেন্টর কাজ,কাবিখা, কাবিটা,টি আর, ৪০ দিনের কর্মসূচি, আশ্রয়নে উন্নয়ন কর্মকান্ডের অর্থ আতœসাৎ, গ্রাম্যসালিশে বিচার প্রার্থীদের নির্যাতন ও বেআইনি জরিমানা, সরকারী খালবিল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন, বয়স্ক ভাতার টাকায় জালিয়াতি, অনলাইন সনদপত্রে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ড করেছেন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন।
এসব অপকর্মের বিরোধিতা করে চেয়ারম্যানকে সদস্যরা বারবার সর্তক করলেও তিনি নিজেকে সংশোধন করেনি । বরং ইউপি সদস্যের প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের এসব অবৈধ কর্ম কান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সদস্যগন সভা ডেকে রেজুলেশন করে সর্বসম্মতি ক্রমে মোজ্জাম্মেল হোসেন এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন ৪নং ওযার্ড ইউপি সদস্য মোস্তফা পারভেজ, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম রাসেল, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য পানাফের রসুল খাজা, ১নং ওয়ার্ড নূর আলম শুক্কুর, ২নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম মাওলা, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল করিম মধু, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো: শাহনাজ ও সংরক্ষিত(১,২,৩)মহিলা আসনের সদস্য রাহেনা আক্তার।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হোসেন কে মুঠো ফোনে অনাস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে সদস্যরা যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়।
উল্লেখ্য চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন সাম্প্রতিক সময়ে একটি স্কুল ছাত্রীকে গ্রাম্য সালিশে প্রকাশ্যে ছাত্রীর মা বাবার সামনে বেদম মারধর করা ও ধর্ষনের বিচার চাইতে আশা এক নারীকে ধর্ষন করার ঘটনায় গনমাধ্যমে ব্যাপক সংবাদ প্রচার হলে দুটি পৃথক মামলা হলে সে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলার বাদিদের নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।