অপরাধ দমনে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইলেন ইপিজেড থানার ওসি মীর মো.নুরুল হুদা

মোঃ আলাউদ্দীনঃ জনগণের জান মালের নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্ব প্রশাসনের। বিশেষ করে থানা পুলিশের উপর এই দায়িত্ব বর্তায়। অপরাধীদেরকে ধরতে না পারলে অপরাধ কখনও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কিন্তু একটি থানা এলাকায় যত লোক বসবাস করে তার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। সুতারাং এলাকার কোন্ কোন্ স্থানে অপরাধীদের বিচরণ আছে তা নির্ণয় করা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কোন্ জায়গায় অপরাধী আছে তা যদি পুলিশকে জানানো হয়, তাহলে পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে পারে। কাজেই অপরাধ দমন করতে হলে এলাকার জনগণকে সচেতন হতে হবে। এলাকার কে কি পেশায় কাজ করছে তা স্থানীয় লোকদের জানা থাকার কথা। কোন ব্যক্তি যদি মাদক ব্যবসা বা জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকে, তা স্থানীয় লোকদের দৃষ্টি এড়াতে পারে না। যদি ভাড়াটিয়া হয়, তাহলে অন্তত বাড়িওয়ালা জানার কথা। সেক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা সঠিকভাবে জানতে না পারলে যদি সন্দেহও হয় তাহলে তিনি আমাদেরকে জানালে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে পারি। তিনি আরো বলেন, জনগণকে পুলিশের কাজ করতে হবে না। পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। তাদের প্রয়োজন হবে পুলিশকে খবর দেওয়া। জঙ্গিবাদ এবং মাদকের মতো অপরাধ দমনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জনগণকেও সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত প্রদক্ষেপ অনুযায়ী জঙ্গিবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো ট্রলারেন্স থাকবে। ইতিমধ্যে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা প্রতি শুক্রবার জুমা মসজিদগুলোতে গিয়ে এগুলোর ভয়াবহতা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করছি। এলাকার সচেতন নাগরিকদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিট পুলিশিং কমিটি করে দিয়েছি। প্রতি শনিবার এসব কমিটির সদস্যদেরকে নিয়ে মিটিং করছি। আশা করছি এর মাধ্যমে আমরা সুফল পাবো। আসন্ন ঈদ উল আযহার সময় ইপিজেড এলাকার লক্ষ লক্ষ কর্মজীবী ঘরমুখো মানুষের বেতন বোনাস নিয়ে বাড়ি ফেরাকে নিরাপদ করতে তার পদক্ষেপ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা কর্তব্য পালন করছে। রাস্তায় চলাচলকারী ব্যক্তিদের মধ্যে কাউকে সন্দেহ হলে তার গতিবিধি পর্যবেক্ষন ও বিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিরাপদে যানবাহনে আরোহন করে গন্তব্যে রওনা দেওয়ার বিষয়টি আমরা রমজানের ঈদেও দেখভাল করেছি। এবারও তার ব্যত্যায় ঘটবে না। ইপিজেড থানা এলাকার কয়েকটি জায়গায় জুয়ার আসর চলে, এগুলোর ব্যাপারে তাঁর প্রদক্ষেপ কি চানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অত্র থানায় যোগদান করার পর জুয়ার সব আসর বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরও যদি পুনরায় গোপনে কেই চালু করে তবে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল দৈনিক আমাদের কণ্ঠ’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাতকালে তার নিকট তার থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদ উল আযহার সময়কালীন নিরাপত্তা প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *