নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত বুলবুলের, দ্বিধা দ্বন্দ্বে কর্মী সমর্থকরা | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্ক :

নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে রাজশাহী সিটিতে। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এ নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মহাজোট এবং বিএনপির প্রার্থী দুই সাবেক মেয়রের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

২০ জুলাই একটি জাতীয় পত্রিকা আয়োজিত ‘কেমন নির্বাচন চাই’ শীর্ষক বৈঠকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বুলবুল ‘রাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো আলামত দেখছেন না’ মন্তব্য করে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন কী না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বুলবুলের এমন বক্তব্যকে ‘আবেগ ও ব্যর্থতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা শুনে হতাশ বুলবুলের কর্মী সমর্থকরা। কর্মী সংকটের কারণে নির্বাচনের মাঠে শুরু থেকেই পিছিয়ে বিএনপি। এমনকি পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানোর লোকের অভাবে পড়তে দেখা যায় তাদের। পরবর্তীতে বুলবুলের নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কথা ছড়িয়ে পড়লে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

উক্ত বৈঠকে বুলবুল অভিযোগ করেন, ‘রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন আলমত নেই। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন কি না তার পরিবেশ এখনও তৈরী হয়নি’। খোঁজ নিয়ে তার এই অভিযোগের সত্যতার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল আবেগ ও ক্ষোভ থেকে অনেক কিছু বলছেন। কখনও বলছেন, এ নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের নির্বাচন, কখনও বলছেন, সরকারের চেহারা উন্মোচনের নির্বাচন। আবার এটাও বলছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।’ বিএনপির আমলের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও মাগুরার নির্বাচন স্মরণ করিয়ে লিটন বলেন, এখন সে রকম নির্বাচন হয় না। খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচন বিএনপি দেখেছে। সেখানে অনিয়ম হয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তারা দিতে পারেনি। সে দুইটিতে অনিয়ম হলে তারা এ সিটি নির্বাচনে অংশ নিতেন না। লিটন বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হোক বা কোন অনিয়ম হোক; এমন কোন কাজ আমরা করতে দেব না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুলবুলের এক কর্মীর কাছ থেকে জানা গেছে লিটনের জনপ্রিয়তা দেখে নিশ্চিত হার জেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন বুলবুল।

শেষ পর্যন্ত বুলবুল নির্বাচনের মাঠে থাকছেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *