সিনিয়র নেতাদের পাশে বসতে বিএনপির দুই নেত্রীর মারামারি, চুল টানাটানি | বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। দলীয় কোন্দল, সংঘাত, মনোনয়ন দেওয়া-নেওয়া নিয়ে সংঘাত, মিছিল-মিটিংয়ে দলীয় কর্মীদের সংঘর্ষের মতো অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি সারা দেশে আজ বিতর্কিত। দলীয় নেতৃত্বহীনতায় নেতা-কর্মীরা রাজনীতি বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। এবার বিএনপির মহিলা দলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, চুল টানাটানিতে জড়িয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন। সম্প্রতি মহিলা দলের সদস্যদের প্রকাশ্যে মারামারির ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, সম্প্রতি বিএনপির একটি দলীয় অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতাদের সামনে মহিলা দলের দুই কর্মী নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেই মারামারির ভিডিও ইউটিউবসহ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় দলটির ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। সূত্র বলছে, অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে সিনিয়র নেতাদের সাথে বসাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে মারমারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই নারী নেত্রী। কারণ, সামনের সারিতে বসে ছিলেন ড. মোশাররফ হোসেন, রিজভী আহমেদের মতো সিনিয়র নেতারা। নেতাদের সামনে বসাকে কেন্দ্র করেই মূলত চুল-টানাটানি ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক মহিলা দলের সদস্যরা তাদের নিবৃত করার চেষ্ট করেও ব্যর্থ হন। ভিডিওতে দেখা যায়, স্বয়ং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রিজভী আহমেদ গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেও দুই নেত্রীর ঝগড়া থামাতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত সফল না হওয়ায় ক্ষোভ নিয়ে নিজ নিজ আসনে বসে পড়েন সিনিয়র দুই নেতা। জানা যায়, অনুষ্ঠানের পর দুই নেত্রীকে কান ধরিয়ে উঠবস করিয়ে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটানোর শর্তে তাদের দল করার অনুমতি দেন রিজভী আহমেদ।

এই বিষয়ে পল্টন থানা বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দল করতে গেলে এমন টুকটাক দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। সবাই নেতা হতে চায়। সবাই সিনিয়রদের সাথে ছবি তুলে নিজেদের বড় মাপের নেতা বানাতে চায়। সেদিনকার ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্খিত। দুই নেতার সাথে ছবি তুলতে গিয়ে মারামারি ও চুল টানাটানিতে জড়িয়ে পড়েন দুই নারী নেত্রী। কাজের সময় এদের পাওয়া যায় না। অথচ ছবি তোলা ও সামনের সারিতে বসা নিয়ে মারামারি করে। দলের আজ এই ভঙ্গুর অবস্থা এদের মতো নেতা-কর্মীদের কারণে। এরকম নেতা-কর্মীদের কারণে বিএনপির বদনাম হয়। এদের দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *