নিউজ ডেস্ক: সিলেট নগর ভবনের সামনে ভিআইপি সড়কসহ আশেপাশে পসরা সাজিয়ে জীবন ও জীবিকার ব্যবস্থা করেন হকাররা। এ থেকে যে অর্থ আসে তা দিয়ে চলে তাদের টানাপোড়নের সংসার। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্বে থাকাকালীন হকার পুনর্বাসনে কোনো গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া তাদের পুনর্বাসনে কোনো ব্যবস্থা না করেই একাধিকবার তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করেছেন তিনি।
পুনর্বাসন বাদ দিয়ে হকারদের ঢালাওভাবে উচ্ছেদে সাবেক মেয়র আরিফুল হকের পরিকল্পনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা এর জবাব আগামী সিটি নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দিবেন বলে জানিয়েছেন। হকারদের পুনর্বাসন নিয়ে মামুন আসলাম নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, গরীব-সহায়সম্বলহীন হকারদের পুনর্বাসন যিনি কাজ করবেন তাকেই ভোট দিবেন সাধারণ মানুষ। মামুন অভিযোগ করে বলেন, সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করলেও তাদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা করেননি।
অন্যদিকে সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, কসমেটিক উন্নয়নে আমি বিশ্বাসী নই। কারও রুটিরুজির পথ বন্ধ করে দিয়ে ভাঙাগড়ায় আমি নেই। নির্বাচিত হলে আগে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তারপর উচ্ছেদের চিন্তাভাবনা করব।
তিনি বলেন, নিরাপদ নগর গড়ে তোলা আমার মূল লক্ষ্য। প্রত্যেকটা মানুষ সমান অধিকার পাবে, সেদিকে থাকবে আমার মূল দৃষ্টি। নির্বাচিত হলে হকারদের পুনর্বাসন করে ফুটপাত দখলমুক্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন কামরান।
এদিকে সিলেট সিটি নির্বাচনে হকারদের ভোট একটা প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের নির্ধারক হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।