বাংলারদর্পন> দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও ভারতের কোনো সরকার অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৬৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৭টি সরকারকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের আমলেই হয়েছে ২৩ বার। এটাই ভারতের অনাস্থা ভোটের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
তবে ২১ বারই সরকার ভোটাভুটিতে জয়লাভ করেছে। পরাজিত হয়েছে ৪টি সরকার। আর ভোটের আগেই পদত্যাগ করে একটি সরকার। গত ৪৫ বছরে ভারতে ২৭টি অনাস্থা ভোটের চিত্র শুক্রবার তুলে ধরেছে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
১৯৬৩ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা ভোট প্রস্তাব আনেন সাবেক কংগ্রেস ও প্রাজা সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা আচার্য জে বি ক্রিপালানি। দীর্ঘ চারদিন ধরে ৪০ এমপি ২১ ঘণ্টা বিতর্ক করেন। অবশেষে নেহেরু সরকারের জয় হয়।
দ্বিতীয় অনাস্থা ভোটটি হয় ১৯৬৪ সালে। স্বতন্ত্র এমপি এন সি চ্যাটার্জি প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে আনাস্থা ভোট আনেন। ভোটে তিনি জয়ী হন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে লোকসভায় ১৫ বার অনাস্থা ভোট হয়। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে ছিল ৩টি অনাস্থা ভোট।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মুখোমুখি হন ১২টি অনাস্থা ভোটের। শুধু ১৯৮১ ও ১৯৮২ এ দুই বছরে তিনি মুখোমুখি হন ৩টি অনাস্থা ভোটের। সব ভোটেই তার সরকার টিকে যায়। ১৯৭৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করেন ওয়াই বি চাভান। ফলে তিনি পদত্যাগ করেন। এটাই প্রথম অনাস্থা ভোটের আগে কোনো সরকারের পতন।
১৯৮৭ সালে কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধী অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েন। কিন্তু লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ফাড়া কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন তিনি। ১৯৯০ সালে ভি পি সিং অনাস্থা ভোটে হেরে যান। তার সরকার মাত্র ১১ মাস ক্ষমতায় ছিল।
১৯৯৩ সালে পি ভি নরসীমা রাওয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন জশওয়ান্ত সিং। সেখানে টিকে যায় তার সরকার। পরে অটল বিহারী বাজপেয়ী আবারও অনাস্থা আনেন। এখানে মাত্র ১৪ ভোট পরাজিত হন নরসীমা রাও। ১৯৯৭ সালে দেব গৌড় অনাস্থা ভোটে হেরে যান। তার সরকার মাত্র ১৩ মাস ক্ষমতায় ছিল।
১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার অনাস্থা ভোটে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। পতন ঘটে বাজপেয়ী সরকারের। সর্বশেষ ২০০৩ সালে অটল বিহারী সরকারকে আবারও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রায় ২৩ ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা। এবার তিনি জয়ী হন।
মোদির বিদেশ সফরে ১৪৮৪ কোটি রুপি খরচ : গত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরে ভারতের খরচ হয়েছে ১৪৮৪ কোটি রুপি! ২০১৪ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত ৪২ সফরে ৮৪ দেশে গেছেন মোদি। এ সময় চার্টার্ড বিমান, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং হটলাইনের সুযোগ-সুবিধার জন্য ভারতের এ খরচ হয়েছে।
দেশটির বৈদেশিক বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি কে সিংহ বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এই হিসাব দেন। খবর এনডিটিভির। তথ্য অনুযায়ী, ভাড়াটে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচ হয়েছে ১০৮৮.৪২ কোটি রুপি। চার্টার্ড বিমানের জন্য মোট খরচ ২০১৪-১৫ মৌসুমে পড়েছিল ৯৩.৭৬ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ মৌসুমে পড়েছিল ১১৭ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ মৌসুমে পড়েছিল ৭৬.২৭ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ মৌসুমে পড়েছিল ৯৯.৩২ কোটি টাকা।