সোনাগাজীতে ৫টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারি আটক | বাংলারদর্পন

ফেনী প্রতিনিধি ;

সোনাগাজী পৌর শহরের কলেজ রোড় থেকে পাঁচটি স্বর্ণের বারসহ মো. হানিফ (৪২) নামের স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের এক সদস্যকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধ্যম ছনুয়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে এক ব্যক্তি কাঁধে একটি স্কুল ব্যাগ নিয়ে ফেনী থেকে সোনাগাজী পৌরশহরের কলেজ রোড়ে এসে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে ঘুরাঘরি করছে। তার গতিবিধি সন্দেহ জনক হওয়ায়  গোপনে অন্য এক ব্যক্তি পুলিশকে খবর দেয়। গোপনে সংবাদ পেয়ে পুলিশও কলেজ রোড়ে এসে অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লোকটি স্থান পরিবর্তন করার সময় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁর দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় মুঠোফোনের ভেতরে ব্যাটারী রাখার জায়গায় সাদা কস্টিপ ও কালো রঙের কার্বণ কাগজ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রাখা পাঁচটি বিদেশী স্বর্ণে বার উদ্ধার করে। যার ওজন ৫০তলা। পাঁচটি স্বর্ণের বারের আনুমানিক মুল্য ২৫লাখ টাকা। বারের অপর পিঠে গ্রীক দেবীর মূর্তির ছবি আছে। এসময় তাঁর কাছ থেকে দুইটি নোকিয়া মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ স্বর্ণের বারগুলো সৌদি আরব থেকে তার চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন এক ব্যক্তির মাধ্যমে সৌদি থেকে দুবাই হয়ে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে তার কাছে বারগুলো পৌছে দেন। পরে শাহাদাতের কথা মত তিনি সোনাগাজীর আরেক ব্যক্তিকে স্বর্ণের বারগুলো বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সোনাগাজী এসেছেন বলে পুলিশকে জানায়। দীর্ঘদিন যাবত তাঁরা এ স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যবসা করে আসছেন। এ ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. ইউসুফ বাদি হয়ে ১৯৭৪সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি ধারা মোতাবেক পরস্পর যোগসাজসে আমদানী নিষিদ্ধ স্বর্ণ চোরাচালানের অধরাধে মো. হানিফ ও প্রবাসী শাহাদাত হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩জনকে আসামী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ৫টি স্বর্ণের বারসহ একব্যক্তিকে গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামী হানিফকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজ ইকবালের আদালতে হাজির করে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *