নিউজ ডেস্ক :
সমাজের অধিকাংশ লোকেরই আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয়। আইনি সহায়তার প্রয়োজন হলেও অর্থের অভাবে অনেকেই আইনি ঝামেলায় জড়াতে চান না। সাধারণ মানুষের আইনি সহায়তার কথা বিবেচনা করে সরকার চালু করেছে বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা সেবা।
২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন। একই বছর জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই সংস্থাই সারা দেশের বিনামূল্যে আইন সহায়তা প্রদান করে থাকে ।
২০০৯ সালে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি গঠনের পর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ২ লাখ ১ হাজার ১২৫ জনকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিধিমালা হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আইনি সুবিধা পেয়েছেন ৬ হাজার ৯১৫ জন। মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির জন্য গত বছর দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করা হয়েছে। ফলে আদালতগুলো এখন উপযুক্ত মামলাগুলো লিগ্যাল এইড অফিসে পাঠিয়ে দিতে পারেন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার জন্য।
দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা লিগ্যাল এইড কিমিটি অফিস থেকে আইনি সহায়তা পেতে পারেন অ্যাসিডদগ্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত নারী, স্বামী-পরিত্যাক্তা, অসচ্ছল, দুস্থ ও বিধবা নারী এবং আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম ব্যক্তি।
লিগ্যাল এইড অফিসে যারা সেবা নিতে আসেন, তাঁদের আইনি পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া বা মামলায় যাওয়ার আগেই লিগ্যাল এইড কমিটি বিরোধ নিষ্পত্তি চেষ্টা করে। সব রকম চেষ্টার পরও যদি বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া, অর্থাৎ মামলা করার সব প্রক্রিয়া সহায়তা করে লিগ্যাল এইড অফিস। মামলায় আইনজীবী নিয়োগ থেকে শুরু করে সব খরচই বহন করে সরকার।
গরিব ও অসচ্ছল নাগরিকের জন্যে সুবিচার প্রদান করে সরকার নিশ্চিত করছে আইন সেবা পাবার অধিকার সর্বস্তরের জনগণের, সবার।