সবার আগে লেখাপড়া, ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সবার আগে শিক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাথেয়। এ শিক্ষাই সকলকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশ-জাতিকে উন্নত করবে।

 

FB_IMG_1485268345174

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজের এলাকায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ছাত্রলীগ নেতা নিরক্ষর লোকজনকে খুঁজে বের করবেন, তাদের শিক্ষা দেবেন। ছাত্রলীগকে সাক্ষরজ্ঞান কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।

 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী ও মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

 

‘অশিক্ষিতদের হাতে দেশের ক্ষমতা পড়লে কি হয় তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি’ বলেও মন্তব্য করেন মহাসমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, ‘জিয়া ছিলেন মেট্রিক পাস, তার স্ত্রী মেট্রিক ফেল। তারা কেন চাইবেন, এদেশের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষিত হোক! তাদের আমলে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র বাণিজ্য ছিল’।

 

‘মীরজাফর যেমন বেঈমানি করে নবাব হতে চেয়েছিলেন, পারেননি, এদেশে কেউই এভাবে বেঈমানি করে ক্ষমতায় থাকতে পারেননি’- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

 

জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি বা বেসরকারি, অন্তত একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হতো প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড; বঙ্গবন্ধুর এটাই স্বপ্ন ছিল। আমাদের সে অবস্থান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু এটাই করতে চেয়েছিলেন, আমরা সেভাবেই কাজ করে যাবো।

 

তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে, তরুণদের এগিয়ে যেতে হবে। তাদেরই আগামী দিনগুলোতে মূল ভূমিকা রাখতে হবে।

 

এখন বাস্তবেই বাংলাদেশ ডিজিটাল মত দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাস্তবেই এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল, সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

 

এ সময় তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে তার সরকারের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন।

 

জঙ্গিবাদ ও মাদক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা কীভাবে জঙ্গিবাদে আসে, এটাই বুঝি না; এখন শিক্ষিতরাই জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে, আমাদের জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গঠনে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাদকের বিরুদ্ধে থাকারও আহ্বান জানাচ্ছি।

 

সম্পাদনা /সৈয়দ মনির।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *