নিউজ ডেস্ক :
‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই’, কবির এমন অমোঘ বাণী আমাদের এই ক্ষুদ্র দেশে বারবারই মিথ্যে প্রতিপন্ন হয়েছে। ধর্মকে হাতিয়ার করে স্বাধীনতার পর থেকেই এ দেশে হয়ে আসছে মারামারি, হানাহানি আর ভোটের রাজনীতি। সোনার বাংলা স্বাধীন করার মূল লক্ষ্য ধনী, গরিব, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসাথে মিলেমিশে বসবাস করার কথা হলেও ধর্ম ব্যবসায়ীদের কল্যানে তার বাস্তবায়ন আজও সম্ভব হয়নি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৩৮ ধারা অনুসারে সাম্প্রদায়িকতা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ হলে রাজনৈতিক দল হিসাবে জাময়াতে ইসলামীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়৷ ১৯৭৫ এর পর জামায়াতকে ফিরিয়ে সেই রাজনীতিকে বৈধতা দেয় বিএনপি৷ তবে বিএনপি জামায়াতকে না ফেরালে গল্পটা হয়ত অন্যরকম হতো৷ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের একটি বিএনপি, যারা নির্বাচনের আগে ইসলাম রক্ষার কথা বলে ভোট চেয়েছে৷ তাদের প্রচারণা অনুযায়ী, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে ইসলাম থাকবে না’৷ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ভোটের রাজনীতিকে ‘টার্গেট’ করেই সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ সংযোজন করেন ৷ এর পর সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেন ভোটের রাজনীতিকে ‘টার্গেট’ করেই৷
সেই ভোটকে টার্গেট করেই আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিএনপি। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বিএনপি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছে। এসব মাহফিলে সাধারণ জনমানুষকে আমন্ত্রণ করে ধর্মের ভয় দেখিয়ে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে গ্রামের সহজ-সরল ও ধর্মভীরু মানুষদের। দেশবাসীর কাছে ধরনা দিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করানোর জন্যে শপথ করাচ্ছে তাদের।
রংপুর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে এক প্রতিবেদককে জানান, সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন নতুন কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। ধর্মকে রাজনৈতিক আদলে মুড়ে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় তার বাস্তবায়ন করতেই বিএনপির এমন উদ্যোগ।