সোনাগাজীতে মাদক নিয়ন্ত্রন হচ্ছেনা কেন ? 

সৈয়দ মনির অাহমদ >> ভারতের সীমান্তবর্তী ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ন অংশে ফেনীর অবস্থান। তাই ফেনীতে অবাধে প্রবেশ করে সকল ধরনের মাদক। অর্থনৈতিকভাবেও এ জেলার মানুষ স্বাবলম্বী। জেলার অতিগুরুত্বপুর্ন উপজেলা সোনাগাজী। লালপুল, মুহুরী প্রজেক্ট, ফাজিলের ঘাট রোড ও কালিদহ-নবাবপুর সড়ক দিয়ে সোনাগাজীতে মাদক প্রবেশ করে। উপজেলার প্রায় সবকটি ছোট বড় হাট বাজারে এবং শতাধিক পয়েন্টে ভ্রাম্যমানভাবে মাদক বিক্রি হয়।

এসব বিক্রয় কেন্দ্রের বিক্রেতাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ভালোভাবে চিনে জানে। অনেকেই বার বার গ্রেপ্তার হয়ে অাদালতের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো সেই পেশায় ফিরে যায়। তবে যাদের হাত ধরে ওইসব পয়েন্ট দিয়ে সোনাগাজীতে মাদক প্রবেশ করে বিক্রয় পয়েন্ট গুলোতে পৌছে যায় তারাই সবসময় ধরাছোঁয়ার বাহিরে। উপজেলায় ১০-১২ জন মাদকের ডিলার মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে ওই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। জানামতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তালিকাভুক্ত একজন মাদক সম্রাট সোনাগাজীতে রয়েছে। মাঝে মধ্যে দেখা যায় অনেক জনপ্রতিনিধি মাদক বিক্রেতাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।  স্থানীয়দের মতে ভাগবাটোয়ারা সঠিক না হলে এমন ঘটনা ঘটে।অাবার নিজস্ব বিক্রেতাকে সুযোগ করে দিতেও এহেন ঘটনা ঘটতে পারে। কিছু হোয়াইট ক্রিমিনাল, ভালো পোশাকে লালপুল, ডাকবাংলা, সোনাগাজী জিরোপয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অামদানীকৃত মাদক বন্টন করে থাকে। আর এসব কাজে ব্যাবহার হচ্ছে যাত্রীবাহী অথবা মালবাহী  যানবাহন। এসব কারনেই সোনাগাজীতে সহজে মাদক নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয়।

স্থানীয়দের মতে পিসিপিআর দেখে প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ক্রসফায়ার দেয়া দরকার এবং তাদের তথ্যমতে হোয়াইট ক্রিমিনালদেরও শাস্তির ব্যাবস্থা করা দরকার।

লেখক -সভাপতি – সোনাগাজী প্রেসক্লাব।

#বাংলারদর্পন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *