দেশ ছাড়ছে মাদক সম্রাটরা, ছিঁচকেরা যাচ্ছে অাত্মগোপনে | বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক  : দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একের পর একেক অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় মাদক সম্রাটরা দেশ চাড়ছে। আর ছিঁচকেরা গ্রেফতার এড়াতে যাচ্ছে তাবলীগ জামাতে। বুধবার রাজধানীর কয়েকটি মাদক স্পট সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ৮ দিনে সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধে ৪২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছে ৭ শতাধিক। এ আতঙ্কে রাজধানীর মাদক বিক্রেতারা স্পট ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের সহযোগিদের মাধ্যমে মুঠোফোনে চলছে ব্যবসা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলেই দ্রæত সটকে পড়ছে তারা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার রেললাইন বস্তির (মাদক স্পট) আশপাশের লোকজন জানান, কয়েকদিন ধরে বিক্রেতাদের দেখা যাচ্ছেনা। অনেকে বলাবলি করছিলেন, সেলিম নামের এক বিক্রেতা ইতিমধ্যে তাবলীগ জামাতে গেছে। গ্রেফতার এড়াতেই তাবলীগে যাওয়া বলে মন্তব্য করেন তারা। ওই এলাকায় জলিল, আব্দুল ও পপি ইয়াবা ফেনসিডিল ও গাঁজার ডিলার জিসেবে পরিচিত। সকলেই পুলিশের চোখ এড়িয়ে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

তেজকুনি পাড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী দিলু কয়েকদিন ধরে উধাও। ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত সে। টেকনাফ থেকে তাকে মাদক সরবরাহ করতো মজিদ নামের এক ডিলার। মজিদ ভারতে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। বর্তমানে ওই এলাকায় লাম্বা বাচ্চু ও মধু নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী সরব রয়েছে।

এদিকে শুক্রাবাদ এলাকায় শাহিন ওরফে বাড়িওয়ালা শাহিন, নুর আলম, খোকন, ভুট্টা বাবু, জামাই মানিক ও আলামিন আগের মত প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করতে দেখা না গেলেও গোপনে চলছে তাদের ব্যবসা। গাঁজা ফেনসিডিলের চেয়ে ইয়াবার ব্যবসাই করে তারা। এছাড়া ভাটারা এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবার ডিলার পিচ্চি পাভেল এক সপ্তাহ ধরে এলাকা ছাড়া। হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ থানার আনন্দপুর গ্রামে চলে গেছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ভাটারা এলাকার নুরের চালার বোটঘাট এলাকায় থাকতো সে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক বিক্রেতা নিহতের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে। গ্রেফতার এড়াতে গত কয়েকদিনে এদের অনেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে গেছে। আর বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। পাশাপাশি অন্য এলাকায় আস্তানা গড়ে মুসল্লি বেশে তাবলীগে গেছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *