আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা | বাংলারদর্পন  

নিউজ ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে দেশরত্ন শেখ হাসিনা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় উন্নতি করেছে। এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক এগিয়েছে।তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিতি লাভ করেছে।একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সামাজিক মানব উন্নয়ন সূচকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন।এর ফলে বর্তমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ একটি ” উন্নয়নের রোল মডেল ” হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মঞ্চের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন।

গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক অর্জন সমূহ:

গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে ১৯৯৬ সালের ১২ ই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেব গৌড়ার মধ্যে যুগান্তকারী দ্বিপাক্ষিক পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৩০ বছর দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির মাধ্যেমে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যার স্বীকৃতি পায়।

ভারতের সঙ্গে স্হল সীমান্ত চুক্তি : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল হলো বিশ্বের অন্যতম জটিল ও দীর্ঘায়িত সীমান্ত সমস্যার সমাধান। ভারতের সাথে ঐতিহাসিক স্হল সীমান্ত চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হয় ২০১৫ সালে।

সমুদ্র বিজয় : সমুদ্র সীমা বিজয় বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয়।২০১৫ সালের নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্হিত স্হায়ী আদালতে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ হাজার পরিমাণ জায়গা জিতে নেয়।

শান্তির জন্য কাজ: পার্বত্য শান্তি চুক্তি ; মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই অশান্ত পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নকে সম্ভব করেছে।পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘ ২৩ বছরের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের শান্ত করার জন্য এ এক অনন্য উদাহরন হয়ে রয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে তিনি সবসময়ই আপোষহীন।

শান্তিরক্ষা মিশন এ দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের দর্শন হলো শান্তি ও স্হিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এটি শুধুই কাংলাদেশেই না বিশ্বব্যাপীই তিনি শান্তির পক্ষে,সন্রাসের বিপক্ষে সোচ্চার।

একজন আন্তর্জাতিক রাষ্টনায়ক হিসেবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট গোলস ( এমডিজি) বাস্তবায়নে তাঁর সরকার অসাধারণ সাফল্যে দেখিয়েছে। এমডিজির ৮ টি লক্ষ্য মাত্রার মধ্যে ৬ টি পুরন করেছে এবং দুইটির জন্য প্রশংসিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর কয়েকজন নেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন যিনি কিনা সহস্রাদ্ব উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা ( এমডিজি) ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা উভয়েরই চুড়ান্তকরন সভায় উপস্হিত থাকার সুযোগ পেয়েছেন। নারী ক্ষমতায়নে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের বাইরে জোরালো ভূমিকা রেখে আসছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের জন্য বাংলাদেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে,এ বিষয়টি আমলে নিয়েই দেশরত্ন শেখ হাসিনা বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ ২১ এ বাংলাদেশ জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

সন্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন : সন্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার সন্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রণয়ন করেন। দেশীয় সন্রাস ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী বাংলাদেশের পবিত্র মাটি থেকে বিতাড়িত করার সক্ষমতা অর্জনের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্বের বিভিন্ন সরকার প্রধান ও সংস্হার প্রশংসা পেয়েছেন।

দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রভাব: দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রভাব ইতিমধ্যে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তিনি ফরচুন নামক সাময়িকী ২০১৬ এ বিশ্বের ৫০ জন প্রভাবশালীদের মধ্যে ১০ম স্হানে নাম করে নিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ” ফরেন পলিসি “, শেখ হাসিনা ” ডিসিশন মেকার” ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১৩ বুদ্ধিজীবির তালিকায় স্হান দিয়েছে,বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা ” ফোর্বস” সাময়িকীতে বিশ্বের ৩৬ তম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা: দেশরত্ন শেখ হাসিনা একাধারে ” প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ, ওয়াল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি, আইসিটি টেকসই পুরস্কার, সাউথ সাউথ কো অপারেশন ভিশনারি,শান্তি বৃক্ষ পদক,ইন্দিরা গান্ধি পুরস্কার, পার্ল এস বাক,পার্সন অব দ্যা ইয়ার,দ্যা সেরেস মেডেল, হৌফে বোইনি শান্তি পুরস্কার, মাদার তেরেসা,এম কে গান্ধি মেডেল, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল, রোটারি ফাউন্ডেশন ও পল হ্যারিস ফেলোশিপ অর্জন এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্মৃতি পুরস্কার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হন সফল রাষ্টনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *