রুহুল অামিন >>
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় বড়াইল এলাকায় অটোচালক রানা (২৫) হত্যার মামলার আসামি ও অটোরিকশা ছিনতাইকারীর অন্যতম হোতা ইমন (১৯) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নান্দাইল থানার এসআই নাজিম উদ্দিন ও কনেস্টেবল মোক্তার হোসেন আহত হয়।
শনিবার (১৯ মে ) মধ্যরাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চৌরাস্তা কলাপড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
নান্দাইল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে ) রাতে উপজেলার বড়াইল এলাকায় অটোরিকশা চালক রানা (২৫) নামে এক তরুনকে হত্যার পর তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার (১৮ মে ) সকালে ওই এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে রানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ইমনকে আটক করে পুলিশ। পরে একই দিন সকালে প্রান্ত ও ইমনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েজনকে আসামি করে নান্দাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটকের পর শনিবার মধ্যরাত আড়াইটার দিকে পলাতক আসামি প্রান্ত (২২) কে গ্রেফতারের জন্য অভিযানে যায় নান্দাইল থানা পুলিশ। পরে উপজেলার চৌরাস্তা কলাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে পলাতক আসামি প্রান্ত ও তার অজ্ঞাত সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়ে ও আসামি ইমনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য অতর্কিত গুলি বর্ষণ শুরু করে।
তখন ওসির নির্দেশে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে উভয়ের মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় কৌশলে আটক ইমন পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। এ সময় গোলাগুলির এক পর্যায়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়। পরে এলাকা তল্লাশিকালে ইমনকে গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধের সময় নান্দাইল থানার এসআই নাজিম উদ্দিন ও কনেস্টেবল মোক্তার হোসেন আহত হয়। পরে তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা, ৩ টি বড় ছোড়া ও ইট পাটকেলের টুকরা উদ্ধার করা হয়। প্রান্তসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে নিহত ইমনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।