নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর কেপ কেনেডি সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে মহাকাশে উড়ে গেছে। সঙ্গে উড়েছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ও ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান। আর এর মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট ওড়ানো রাষ্ট্রের তালিকায় নাম উঠলো বাংলাদেশের। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করলো। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে?
তাহলে জেনে নেয়া যাক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে-
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটলো। ফলে পুরো বিশ্বের কাছে নতুন সম্মানে ভূষিত হলো বাংলাদেশ।
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের ফলে দেশের সম্প্রচার যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। কমবে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর সম্প্রচারে খরচ।
বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে যে ১৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১১৩ কোটি টাকা) দেশের বাইরে চলে যেতো তা এখন সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের।
এই স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। যার মধ্যে দেশের কাজে ব্যবহৃত হবে ২০টি আর বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া হবে। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে প্রচুর পরিমান টাকা বাইরের দেশে চলে যায়, যার পরিমান ২ লাখ ডলার। স্যাটেলাইট ভাড়া দিয়ে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। এতে করে দেশের টাকা দেশে থাকবে আবার বাইরের দেশ থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পুরো দেশের মানুষ ইন্টারনেট সেবাও পেতে পারবে সহজে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা বিস্তৃত করা যাবে।
আবহাওয়া সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানা যাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা যাবে।
নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকায় মহাকাশ সম্পর্কে বেশি জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হবে। মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সমুদ্র, বন নিয়ে গবেষণা করা যাবে অনায়াসে।
সব দিক বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে কারিগরি যে সুবিধা পাওয়া যাবে, তার বাইরেও এটি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সম্মান বয়ে আনতে সহায়ক। সেই সঙ্গে এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই বিষয়ে জ্ঞানার্জনে উৎসাহী করবে বলেও মনে করেন তারা।