গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ফের বিপাকে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক :

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বানচালের যে ছক কষেছিল চক্রান্তকারীরা তা স্থায়ী না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়াচ্ছে নির্বাচন। চক্রান্ত করে গত ৬ মে হাইকোর্টের নির্দেশে ছয় মাসের জন্যে স্থগিত রাখা হয়েছিল নির্বাচন।

নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশার অন্ত ছিলনা জয় প্রত্যাশী প্রার্থীদের। হঠাৎ করেই নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় তাই হতাশ হয়ে পড়েন তারা। কেননা একদিকে যেমন নির্বাচনী প্রচারণার বাজেট খরচ হয়ে যায় অন্যদিকে জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাওয়ার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছিল তাতে ভাটা পরে প্রার্থীদের।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। নির্বাচন স্থগিতাদেশে কারো কারো মাথায় হাত পড়লেও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায় কারো কারো। সরকার বিরোধী চক্রান্তকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এ সিদ্ধান্তে। ক্ষমতাসীন দলকে এক হাত দেখে নিতে শুরু হয় অপপ্রচার। বলা হয় সরকারের সিদ্ধান্তেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নিশ্চিত পরাজয় জেনেই নাকি অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় নির্বাচনকে। সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের তুমুল রোষানল সৃষ্টি করতে দাড় করানো হয় ভিত্তিহীন সব যুক্তি।

কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আদালতের এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে কুচক্রীদের বিধি বাম। ১০ মে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে ২৮ জুনের মধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন অনুষ্ঠিত করার আদেশ দেন। আর যা শুনে আনন্দে উৎফুল্ল জাহাঙ্গীরকে বলতে শোনা যায়, ‘এবার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া যাবে ষড়যন্ত্রকারীদের।’

ফের নির্বাচনের ডাক শুনে ক্ষমতাসীন দলকে খুশি হতে দেখলেও ভড়কে যেতে দেখা যায় বিরোধী দলকে। বিএনপি ভেবেছিলো ভোটের মাঠের চাইতে অপরাজনীতির দ্বারা আওয়ামীলীগকে ঘায়েল করা সহজ হবে। কিন্তু রাজনীতির খেলা আবার ভোটের মাঠে গড়ালে, বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করতে শুরু করে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ভেস্তে দিয়ে একরকম স্বস্তিতে ছিলো তারা, কিন্তু আবার কোন জায়গা থেকে সবকিছু শুরু করবে তা নিয়ে বিচলিত বিএনপি প্রার্থী হাসান।

তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এমন পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের খবর আসলেও অবাক হবার কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *