নিউজ ডেস্ক :
আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে খালেদা মুক্তির আন্দোলনে খুব বেশি একটা সাফল্য অর্জন করতে পারছেনা বিএনপি। দুর্নীতির মামলায় খালেদার কারাবাস হবার পর বিনপির একমাত্র লক্ষ্য হয়ে যায় খালেদাকে যেকোন উপায়ে জেল হতে মুক্ত করা। আইনি জটিলতা থাকার কারণে বিলম্ব হচ্ছে খালেদার মুক্তিতে, আর এ কারণে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছে দলটি।
বিএনপির সামনে বর্তমানে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ খালেদার মুক্তি, নির্বাচন এবং তারেক বিতর্ক।
খালেদার মুক্তি নিয়ে বিএনপির মধ্যে সংশয় কাজ করছে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে খালেদার তড়িৎ মুক্তি সম্ভব হবে কিনা তা কেউই বলতে পারছেনা। খালেদার মুক্তির ওপর নির্ভর করছে বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডের পরিকল্পনা। বিএনপির হাইকমান্ড শুরু থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে খালেদাকে মুক্তি করতে চাইলেও আশার আলো দেখতে পারছেনা। এই কারণে মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলামের মত বিএনপির সিনিয়র নেতারা চাচ্ছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ পরিহার করে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদার মুক্তি আদায় করতে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে অনেকের মধ্যেই সংশয়। মির্জা ফখরুল, মোশাররফ ও রিজভীর মতো অনেক সিনিয়র নেতারই মূল উদ্দেশ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। আর ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদার মুক্তির দাবি আদায় করার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হবে বলে তাদের ধারণা। জনগণের সমর্থন হারিয়ে নির্বাচনের মাঠে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনাই এতে বেশি থাকবে।
অপরদিকে খালেদাকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে কি যাবেনা এ নিয়ে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে বিএনপি। এক অংশ চাচ্ছে যেকোনো মূল্যেই নির্বাচনে যেতে। কারণ নির্বাচনে জয়লাভ করলে একদিকে যেমন কাঙ্খিত ক্ষমতা লাভ করবে দলটি অন্য দিকে খালেদার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবেনা। কিন্তু অন্য একটি অংশ চাচ্ছে খালেদাকে ছাড়া নির্বাচনে না যেতে। তাদের এ ইচ্ছার পেছনে মূল কারণ খালেদা ছাড়া নির্বাচনে গেলে জিততে না পাড়ার আশংকা।
যে কোনো দলের জন্যেই নির্বাচন হচ্ছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। আর পরপর দুবার এ পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে থেকে ছিটকে পড়বে, নাকি সাহসের সাথে এ পরীক্ষার মোকাবেলা করবে সে সংশয় থেকে কবে বের হবে বিএনপি?