শেখ হাসিনা সরকারের ৯ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি |বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সরকার প্রধান দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক চিন্তা ধারা ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। আর তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিগত আট বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অবিশ্বাস্য। যা একজন সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়। আর তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শীর্ষ শিখরে অধিষ্ঠিত হতে পারবে বলেই প্রতিয়মান হয়।

বিগত ৯ বছরে সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রগতিগুলো হলো-

অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি আজ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যা জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৪তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩২তম।

ধারাবাহিকভাবে ৬.৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে পুরো বিশ্বকে আমরা তাক লাগিয়ে দিয়েছি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.১১ শতাংশ। ২০১৬-১৭-তে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।

প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম ও ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে।

জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে আজ ১ হাজার ৬১০ ডলার হয়েছে।

দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ সালে ছিল ৪১.৫ শতাংশ। এখন তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২২.৪ শতাংশ। অতি দারিদ্র্যের হার ২৪.২৩ থেকে ১২ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫-১৬ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যে হার ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনা।

৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।

সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ শক্তভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ৩৩.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও ওপর।

২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ১০.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বিগত আট বছরে দেশ-বিদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৯ লাখ ৭৩ হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। নারী কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার।

একদিকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে মূল্যস্ফীতি ছিল ডাবল ডিজিটে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে নজর রাখলে সহজেই বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ভাবনার সমূহপ্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে খুব অচিরেই উন্নয়নের মাইলফলকে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে উন্নীত হবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *