নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম ‘নুরুল আজিম রনি’ । রনিকে নিয়ে একটি মহল সবসময়ই বিভিন্ন মিথ্যা খবর প্রকাশে লিপ্ত থাকে । দুর্ভাগ্য হলেও এটাই সত্য যে, নিজ দলের সমর্থকরাই আজ রনির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিনষ্ট করার কুপ্রয়াস চালাচ্ছে । অপরদিকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা রনির পক্ষে কথা বলছে । এবার দেখে নেই, কারা রনির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ।
অ্যাড.নূরজাহান বেগম মুক্তা এম পি বলেন, ” আদর্শিক পরিচয় এবং সম্পর্ক ছাড়া চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয় নেই।কোনদিন দেখাও হয়নি, এমনকি কথাও হয়নি।ছাত্রলীগ করা এই ছেলেটা বারবার পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে, সমালোচনার আলোচনায় রাখা হয়েছে তাকে? যতবারই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ততবারই দেখেছি সবগুলো মিথ্যে প্রমাণ করে আবার সগৌরবে ফিরে এসেছে বীরের মতো।একটা ছেলের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ কেনো?কারনটাও স্পষ্ট।ছেলেটা শিক্ষাখাতকে জিম্মি করে রাখা কিছু ব্যবসায়ীর পথের কাঁটা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। ইমোশনাল থেকে গায়ে হাত তুলে, যদিও সেটা অন্যায়। কিন্তু মারামারির জন্য মামলা না হয়ে ছেলেটার বিরুদ্ধে মামলা হয় চাঁদাবাজির!ছেলেটা অনৈতিক পথে পা না বাড়িয়ে, নিজের অবস্থান থেকে বন্ধু রাশেদের সাথে পার্টনার হয়ে কোচিং সেন্টার করেছে। পাওনা টাকা চেয়ে বারবার প্রতারিত হচ্ছে? তারপর এমনটা হয়েছে।অনেকের মতোই আমিও এটাকে সমর্থন করিনা। বলবেন আইনের আশ্রয় নিতে পারতো ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বয়সে তরুণ ছেলেটা কত ধৈর্য ধরবে? বারবার প্রতারিত হওয়ার অপমানে রাগে এবং ক্ষোভ থেকে ওই ঘটনার সূত্রপাত।আরেকটা জিনিস দেখুন, ঘটনা ঘটেছে ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ, আর সেই ভিডিওটা ভাইরাল করা হয়েছে এপ্রিলের ১৯ তারিখ। মামলাও সেই সময় করা হয়নি, করা হয়েছে এখন। তাও আবার চাঁদাবাজির।কি উদ্ভূত মিল দুই ঘটনাতেই। শিক্ষকের গায়ে হাত তুলার দায়ে মামলা হয় চাঁদাবাজির, কোচিং সেন্টারের পার্টনারকে চড় থাপ্পড় মারার দায়েও মামলা হয় চাঁদাবাজির।সবশেষে একটা কথা বলি ; অনেক সময় আমরা যা দেখি, তা ঘটেনা? আবার যা ঘটে তা দেখিনা।রনি পাওনা টাকার জন্য, নাকি চাঁদাবাজির জন্য এমন মারমুখী হয়েছে তা জানতে চাই। কাজেই ভয়েজ সহ ভিডিওটি প্রকাশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
জয়দেব নন্দী বলেন, “আজ রনিকে শিবির বলে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । নুরুল আজিম রনি ‘শিবির’?!!! কোথায় ছিলেন ভাই? প্রয়াত কিংবদন্তি নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ.জ. ম নাসিরউদ্দিনের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজ থেকে শিবির বিতাড়নের তাগিদে লালদীঘি ময়দানে সেদিনের সেই বিশাল ছাত্রসমাবেশের কথা মনে আছে আপনাদের? আমরা তৎকালীন কয়েকজন কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। সেদিন আমরা দেখেছিলাম, রনি-ইমুর শিবির-বিতাড়িত করবার দৃপ্ত প্রত্যয়!ঠিক তার ২/১ পক্ষ পর, রনির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শিবির বিতাড়িত হলো চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসীন কলেজ থেকে। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এই দুই কলেজে নিজ হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সে প্রতিষ্ঠা করেছিল। সে-ই হয়ে গেল শিবির? বাহ! রনির অনেক কিছু নিয়ে সমালোচনা করবার আছে। সেটি আমি করেছিও। আবার আদর্শ-প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে ত্বরাণ্বিত করতে রনির মত নেতা/কর্মীর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সার্বক্ষণিক। থাকবো আমৃত্যু। এইতো গত কয়েক সপ্তাহ আগেও রনির একটা ফেসবুক পোস্টে আপত্তি জানিয়ে লিখেছিলাম, ‘এই পোস্টদাতা রনির মুক্তি আমরা চাই নি, আমরা মুক্ত করেছিলাম এক আদর্শবাদী রনিকে’!
রনি সাথে সাথে আমাকে ফোন করেছিল, ভুল স্বীকার করেছিল, ভুল বুঝতেও পেরেছিল। রনিও মানুষ। তারও ভুল হতে পারে। তাই বলে প্রকৃত আদর্শবাদী একটা ছেলেকে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আপনি তাকে শিবির বলবেন?
ইনশাহআল্লাহ, বঙ্গবন্ধু কন্যা রনি,র পাশেই থাকবেন, কারন তিনি জানেন ও চেনেন, কারা প্রকৃত মুজিব সৈনিক ।”
সাব্রিনা আক্তার তুহিন এমপি বলেন, ” রনি এত বড় বড় ব্যবসায়ী রেখে একজন কোচিং ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চাইবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচছে ,ফেব্রুয়ারির ঘটনায় মামলা হলো এখন ব্যপারটা কি সন্দেহের সৃষ্টি করছে না ।রনি যদি চাঁদাবাজ হতো তবে তার টাকার পাহাড় থাকার কথা কিন্তু এমন টাকার সন্ধান কি পাওয়া গিয়েছে ।রাশেদ পাওনা টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য ও এখন এমনটা করতে পারে তাই তদন্ত হওয়া জরুরী ।কেউ যদি টাকা নিয়ে ঘুরায় মাথা গরম হয়ে অনেকেই এমন গাঁয়ে হাত তুলে যদিও মনে করি আইন নিজের হাতে নেয়া ঠিক না ।তবে রাশেদ কি দরিদ্র পরিবারের অর্থ আত্মসাত করার অধিকার রাখে প্রশ্ন আমার সেখানে ।আমি মনে করি সরাসরি বহিস্কার না করে কারন দর্শানোর নোটিশ করা যেতে পারতো জবাব মনঃপুত না হলে বহিস্কার করা হতো ।আমরা দেখলাম এশার ব্যপারে ও এমনটা হলো আবার রনির ব্যপারে একই রকম হলো ।রনি কে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জনপ্রিয়তা আমার চোখে পরেছে সে সাধারন ছাত্রদের পক্ষ্যে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর ।আমাকে আমেরিকা থেকে একজন ছোট ভাই আল্লাহ্ কসম খেয়ে বললো সে উপস্হিত ছিল রাশেদ কে টাকা দেয়ার সময় আর বললো আপা সবই চক্রান্ত ।আমার বিশ্বাস সত্যের জয় হবে ।”
আশরাফুল আলম খোকন বলেন, “নুরুল আজিম রনি এখনতো ফেরারি। মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ছাত্রলীগেও তার কোনো পদ নেই এখন। চট্টগ্রামের বর্তমান ক্ষমতাবানরাও তার বিরুদ্ধে। তবুও কেন একজন পলাতক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন রাস্তায় কর্মসূচি পালন করছে। যারা রনিকে মাস্তান চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করেছেন, সংবাদ ছাপিয়েছেন তারা এইবার একটু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে বের করেন- কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও কেন রনির পক্ষে।ঢাকায় বসে আমরা যা জানি এবং বুঝি, স্থানীয় প্রেক্ষাপট অনেক ভিন্ন। তিনি আরো বলেন,অনেক রথী-মহারথী, বাঘ মহিষ আছেন। কিন্তু চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ কলেজগুলোকে যুদ্ধাপরাধী এবং শিবিরমুক্ত কিন্তু রনি’ই করেছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে অনেকের ক্ষোভ থাকবে,কষ্ট থাকবে, দুঃখ থাকবে। লুটেরা,মহাজন শ্রেণীর বিরুদ্ধে দাঁড়ালে প্রাথমিকভাবে যা হয় রনি’র তাই হয়েছে। রনি’ও হয়তো একদিন আবার ঘুরে দাঁড়াবে, কারন এই রাষ্ট্র এবং সমাজকে কুলষমুক্ত করতে রনিদেরই বেশি প্রয়োজন।”