নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত যেসব সমস্যা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে, তার একটি তিস্তার পানিবণ্টন। ৫৮টি আন্তর্জাতিক নদী সহ কমপক্ষে ২৩০টি নদী বিধৌত প্লাবন ভূমি আমাদের বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক নদীগুলোর মধ্যে ৫৫টির উৎপত্তি ভারত এবং ৩টির মায়ানমার থেকে। বাংলাদেশের মানুষ তাই ভারত থেকে আসা পানির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
শুকনো মৌসুমে তিস্তার পানি শুকিয়ে যায় এবং বাংলাদেশ অংশে তীব্র হারে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় মানুষের জীবন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছে। তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ ভারতের সঙ্গে পানি বন্টন চুক্তি না করায় বাংলাদেশকে গভীর জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। তিস্তা পানি বন্টন সমস্যা নিরসনে ভারতের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করতে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার পদক্ষেপ নেয়া হলেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি ভারতের কাছ থেকে।
কিন্তু এ দাবি বাঙালিদের ন্যায্য পানির হিস্যা, তাই যে কোন উপায়েই তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি বাস্তবায়িত করতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার।
ভারতের আমন্ত্রণে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২০ জনের প্রতিনিধিদল তিন দিনের সফরে ২২ এপ্রিল দিল্লি যায়। ভারতে সরকারের প্রতিনিধিদল, আর তিস্তা পানি বন্টন নিয়ে আলোচনা হবেনা তা কি করে হয়?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে এ বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলের আলোচনা হলে মোদী জানান, খুব গুরুত্বের সাথে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে ভাবছে ভারত সরকার। যত দ্রুত সম্ভব তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি করে বাংলাদেশকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ফিরিয়ে দেবে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন আশার বাণী শুনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন, এবার তাহলে খুব শীঘ্রই বাঙালিদের প্রাণের দাবি বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আর তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হতে পারে মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র বিজয়ের মত আওয়ামীলীগ সরকারের আরেকটি বড় অর্জন।