গাজীপুর সিটি নির্বাচন : হাসান সরকারের রাজনৈতিক অপতৎপরতা

নিউজ ডেস্ক :

আগামী ১৫ মে একই দিনে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এইচএসসি পরীক্ষার পর এবং রোজার আগে এই দুটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এ দুটি সিটি করপোরেশনের ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১২ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই ১৫-১৬ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৩ এপ্রিল।

৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের উপর বিস্তর অভিযোগ। মানহানি, নাশকতা, সন্ত্রাসী মদদ এবং বিস্ফোরক আইনে তার নাম রয়েছে বেশ কিছু মামলা।

পুলিশের মামলার বিবরণ ঘেটে জানা যায়, ০৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয় হাসান সরকারের নামে এবং পরবর্তীতে ১০ টি ককটেল ও পেট্রল বোমাসহ আটক হন এই বিএনপি নেতা। মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখেই বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা এঁটে ছিলেন হাসান সরকার। এছাড়া, পুলিশের এজহার ঘেঁটে জানা যায়, হাসান সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আজমত উল্লাহ খানের দায়ের করা আরেকটি মানহানির মামলাও আছে হাসান সরকারের বিরুদ্ধে।

নির্বাচনের আগে মূলত নিজের বিরুদ্ধে থাকা মামলা জনগণ থেকে আড়াল করতেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন হাসান সরকার। নির্বাচনের আগে যেখানে প্রার্থীদের লক্ষ্য থাকে জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে ভোট চাওয়া, সেখানে অনেকটাই ভিন্ন রাস্তায় হাঁটছেন হাসান সরকার। কেননা, জনবিচ্ছিন্ন এবং দলীয়ভাবে দিশেহারা বিএনপির আশ্রয়ে তিনি নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবেন না এটা স্পষ্টতই বুঝে গেছেন। আর তাই তিনি নেমেছেন নীল নকশা বাস্তবায়নে।

সরেজমিন গাজীপুর ঘুরে দেখা যায়, নির্বাচনের আগে এক উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে গোটা সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসান সরকারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী বিব্রত। এলাকায় তিনি এখন কুখ্যাত এক রাজনীতিবিদ। অনেকেই বলেছেন, হাসান সরকারের কুকর্মের কথা।

নির্বাচন জনগণের বড়োই প্রতীক্ষিত এক অধিকার। যেসব রাজনীতিবিদ জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ঘৃণ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার বানায় তাদের ব্যাপারে সজাগ আছে জনগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *