নিউজ ডেস্ক :
১৯৭১ থেকে ২০১৮ সাল। স্বাধীনতার মাত্র ৪৭ বছর অতিক্রম করেছে ছোট্ট এই দেশটি। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা না থাকলেও দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে একটি সুখী ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল দেশ হিসেবে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন দেশ খুব কমই আছে যার জন্ম হবার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে।
অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। গত ৫০ বছরে বিশ্বে মাত্র তিনটি দেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়। বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয় তার দুইটি শর্ত পূরণ করলেই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ তিনটি শর্তই পূরণ করে সেইগুলোকে অতিক্রম করে আরও বহুদূর এগিয়ে গেছে। আর দেশের এ অসামান্য খেতাব অর্জন করানোর সবচেয়ে বড় অবদান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনার।
তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বগুনে দেশের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে ১,৬১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ যা বর্তমানে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। জিডিপি ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। দেশের সব প্রান্তে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে ১৬ হাজার মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে যার দ্বারা ৯০ ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে শপথ নিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা তা ইতোমধ্যে পূরণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রতিশ্ৰুতি দেন।