সাহাব উদ্দিন:
ফুলগাজীর বাশুডার সেই ঢোল মন্দির সংস্কার কাজের উদ্যোগ নিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান।
তিনি ইতিমধ্যে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম ও নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কিসিন্জার চাকমার সঙ্গে ও কথা বলেছেন।
প্রায় সাড়ে চার শত বছর পুর্বের এই ঐতিহ্যের সৃতি সংরক্ষণে ফিরে পেতে যাচ্ছে। আবার অপর দিকে গড়ে উটবে ফুলগাজীর হারানো সেই বাশুডার ঢোল মন্দিরকে ঘিরে ঐতিহ্যের বৈশাখী মেলা। শুরের মোর্চনা আবারও শিশুদের বাঁশি বাজানো , বেলুন ফুটানো থেকে শুরু করে থাকবে মেলার বাহারি আকর্ষণ।
দিলিপি চৌধুরী (৬৫) পরেশ চন্দ্র চৌধুরীর দুর সম্পর্কেের বাগনে। ছোটবেলায় মা বিল্লীবাসীর সঙ্গে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম হইতে মামার বাড়ীতে আসতেন মেলা দেখার জন্য। বিল্লীবাসী ছিলেন, পরেশ চৌধুরীর বোনের জা। ১৯৬০ ইংরেজিতে মায়ের সঙ্গে এসে তিনিও নাকি শুনেছেন এই ঢোল মন্দিরে সতীদাহ করা হতো। কিন্তু সেখানে পরে আত্মহত্যার প্রবনতাও বেড়ে গিয়েছিল। ৭০ দশকের প্রথম সময়ের দিকে ঢোল মন্দিরের গভীরের সেই সুডঙের যায়গাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্বামীর মৃত্যুর পর সঙ্গে তাঁর বিধবা স্ত্রীকে জীবিত ঢেলে দেওয়া হতো অর্থাৎ সতীদাহ করা হতো ।
তৎকালীন ফুলগাজীর এই ঢোল মন্দিরেও সতীদাহর প্রথা চালু ছিল। রাজা রামমোহন পরে তা বাতিল করেন। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পরে নিজের পুত্র সন্তানকে বিধবা নারী বিয়ে দিয়ে সতীদাহ প্রথা ভেঙে দেন।
প্রিয় পাঠক, আমি ফুলগাজীর ঢোল মন্দির নিয়ে আমার ফেসবুকে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ একটি লেখা পোস্ট করি। সেই সুবাদে আমাদের মাননীয় জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান মহোদয় ফুলগাজীর সেই ঢোল মন্দির ইতিমধ্যে পরিদর্শন ও করেছেন। আজকের এই লেখার মাধমে স্যারকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মহোদয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কিসিঞ্জার চাকমা মহোদয়কে।
জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান বলেন, ফুলগাজীর কলেজ সগলগ্ন জোড়া দীঘির মাঝে মন্দীরটির অবস্হান হলেও এখানে বাড়িয়ে দিয়েছে সৌন্দর্যের প্রতিক। বাড়িয়ে দিয়েছে পর্যটনের সম্ভাবনাময়।
তিনি ইতিমধ্যে মন্দিরের আশ পাশের ঝোঁপ ঝাপ পরিস্কার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আগামীতে এখানেই উদযাপন করা হবে পহেলা বৈশাখ। আবারও শুরু হবে ফুলগাজীর ঐতিহ্যেবাহী বাসুডার দইল মেলা।