নিউজ ডেস্ক :
আট দিনের সরকারি সফরে সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়নে ও বহির্বিশ্বের কাছে দেশের সুনাম রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর এ সফর গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে। এছাড়া দেশের সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন তথা বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তিতে এ সফর অত্যন্ত তাৎপর্য মন্ডিত।
সৌদি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ২৩টি বন্ধুপ্রতিম দেশের অংশগ্রহণে মাসব্যাপী ‘গালফ শিল্ড-১’ নামের যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই অনুষ্ঠান শেষে ‘অভিন্ন ভবিষ্যৎ অভিগামী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
১৭ ই এপ্রিল বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি: নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকেছেন তিনি। ১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনা এশীয় নেতাদের ‘ক্যান এশিয়া কিপ গ্রোয়িং?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এ বৈঠকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশীয় উন্নতিতে অবিস্বরণীয় ভূমিকা রাখবে।
আগামী ২০ এপ্রিল তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে ও ২১ এপ্রিল রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেও অবদান রাখবেন।
বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়ন, দেশের উন্নতি ও বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পারাই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এ দীর্ঘ সফরের সার্থকতা।