এরাই একদিন আন্দোলন করবে কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনার জন্য | বাংলারদর্পন 

অাশ্রাফুল অালম খোকন >>>

মেধার ভিত্তিতে ৩৩তম বিসিএসে ৭৭.৪০ শতাংশ, ৩৫তম বিসিএসে ৬৭.৬৯ শতাংশ এবং ৩৬তম বিসিএসে ৭০.৩৮ শতাংশ ক্যাডার সরকারি চাকুরীতে নিয়োগ পেয়েছে। অর্থাৎ কোটায় যোগ্য মেধাবীদের না পাওয়া গেলে বাকিদের থেকে তা পূরণ করা হয়।

 

সুতরাং কোটার কারণে জাতি মেধাহীন সমাজ পাবে এই যুক্তিটি খুবই অযৌক্তিক। কোটাপ্রথা বাতিলের যৌক্তিকতা কতটুকু আসুন তা বিশ্লেষণ করি।

 

দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার  ২ লাখের মত। এইখানে কোটা ৩০%। প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২০লাখ ১৬ হাজার, এখানে কোটা ১%। দেশে উপজাতি ১৫লাখ ৮৬ হাজার, কোটা ৫%। দেশে নারীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৮কোটি ৫০লাখ, কোটা =১০%। জেলা কোটা আছে প্রায় ১০% শতাংশ। যেখানে দেশের প্রায় সব জেলার মেধাবীরাই আছে।

 

এই নয় কোটির জন্য কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি থাকে আরও ৮কোটি মানুষ। যাদের জন্য আছে ৪৪ শতাংশ।

 

এছাড়া জেলার বাসিন্দা হিসেবে সব মেধাবীরাই কোটার অাওতায় পড়ে। নারী হিসেবে প্রত্যেক মেধাবী নারী কোটার মধ্যে পড়ে। তাহলে কয়জন কোটার আওতায় পড়ে না, তা বোধগম্য নয়।

 

এরপরও অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন কোটা কেন রাখা হয়। কোটা রাখা হয় সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে উঁচু তোলার বৈষম্য দূর করার জন্য। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা তৈরী করার জন্যই, বৈষম্য তৈরী করার জন্য নয়। চাকুরীর এই বিকেন্দ্রিয়করন করা না হলে দেখা যাবে বড়লোকের ছেলে মেয়েরা, যারা পয়সা দিয়ে প্রাইভেট টিউটর রেখে পড়াশোনা করে তারাই যুগে যুগে ভালো চাকুরী পাবে, সুবিধাহীনরা বঞ্চিত হবে।

 

আমি নিশ্চিন্ত কোটা তুলে দিলে একদিন আবার এরাই আন্দোলন করবে কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *