আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে বিজি প্রেসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী

 

ডেস্ক রিপোর্ট :

প্রশ্নপত্র ফাঁস জাতীয় জীবনে আজ এক বিভীষিকার নাম। জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকার দিকে ঠেলে দিতে স্বার্থানেষী অর্থলোভী এক চক্র প্রশ্নফাঁসের মতো এক ঘৃণ্য কর্মকান্ডে জড়িত। এই চক্রটির মূল কর্মকান্ডটি পরিচালিত হচ্ছে বিজি প্রেসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাহায্যে, আর তাই তাদেরকে রাখা হয়েছে কড়া নজরদারিতে।

বিজি প্রেসে যাওয়ার আগে প্রস্তুত করা হয় ৬৪ সেট প্রশ্নপত্র। তারপর বাছাই করে নেওয়া হয় ৩২ সেট। তার মধ্য থেকে প্রিন্ট করা হয় ৮ সেট। আর যেহেতু প্রিন্ট হওয়া এই ৮ সেট প্রশ্নই ফাঁস হচ্ছে, তাই বিজি প্রেসের কর্মকর্তাদের দিকেই সন্দেহের তীর সরকারের। আর ফাঁস হওয়া প্রশ্নগুলো পরীক্ষার আগের রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। বিজি প্রেস ছাড়া অন্য কোথাও থেকে পরীক্ষার আগের দিন বা রাতে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই।

২০১৬ সালে জুন মাসে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত সরকারি মুদ্রণালয়ের (বিজি প্রেস) মুদ্রণ শাখার কর্মচারী দু’জনকে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষার দু’দিন আগে প্রশ্ন ফাঁস করতেন তারা। এরপর থেকে বিজি প্রেসের উপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়লেও কমেনি তাদের দৌরাত্ম। প্রশ্নপত্র মুখস্ত করে বাইরে এসে তা সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া, গেঞ্জির উল্টো পাশে প্রশ্ন প্রিন্ট করে তা ছড়িয়ে দেয়ার মতো অভিনব উপায় অবলম্বন করার অভিযোগ রয়েছে এসব অসাধু কর্মকর্তাদের উপর। আর তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করে বিজি প্রেসের অসৎ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার।

বিজি প্রেসের কর্মচারীদের পেছেনে আছে দেশবিরোধী এক বিশাল চক্রের হাত, আর তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে সেই চক্রের মূল হোতা বেরিয়ে আসলেই সম্ভব প্রশ্নপত্র ফাঁসের স্থায়ী সমাধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *