মোঃ ছালাহ উদ্দিন >>
সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের অদম্য সাহসী প্রতিবন্ধী যুবক মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল। ছোটবেলা থেকে পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবনের শত ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি ফেরিয়ে পরিবারের অভাবের মধ্যেও উচ্চ বিদ্যালয়ের গণ্ডি ফেরিয়েছেন। অভাবের তাডনায় বাবা নুর করিম ছেলেকে আর পডাতে পারেননি। এরপর কখনো বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, সময় দিয়েছেন, কখনো চাকুরী, কখনো টিউশনি করেছেন। দুই পা না থাকলেও স্বপ্নের পথে হেটেছিলেন রাসেল।
কিন্তু পংগুত্ব আর পরিবারের অভাব তাকে থামিয়ে দেয়। তবুও স্বপ্ন তার পড়াশুনা করে সরকারি চাকুরী করবে। তাই আবারো নেমে পডলেন অন্ধকারে আলোর সন্ধ্যানে হাটতে।
সরকারি চাকুরীর জন্য ইতোমধ্যে একাধিকবার আবেদনও করেছিলেন, কিন্তু এইচ এসসি পাস সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিবেন।
আজকে সকালে রিকসায় করে আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বিষয়টি মোস্তাফিজ আমিরাবাদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম কে জানান। তার মুখে স্বপ্নের কথা শুনে চেয়ারম্যান নিজেও অভাক হয়ে যান। দুই পা নেই এই অবস্থায় রাসেল আবার পডতে চায়?
চেয়ারম্যান তখন রাসেলকে পডালেখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ফোন করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন,সব বব্যবস্থা করে দেন। ভর্তি ফিস ৩হাজার ৯শত/টাকা প্রয়োজন তাই রাসেলের হাতে ৪হাজার টাকা দিয়ে রাসেলের স্বপ্ন পূরনের প্রথম বাতিটি জ্বালিয়ে দেন চেয়ারম্যান জহির।
প্রতিবন্ধী মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল জানান লোকমুখে জহির চেয়ারম্যান এর উদারতার কথা শুনেছিলাম কিন্তু বাস্তবে আজ দেখলাম তার মন কতটা উদার।