নিউজ ডেস্ক :
একটি জাতি যদি সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত থাকে তাহলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। আর তাই ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি পাঠ্যপুস্তকে অসত্য ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে। কারণ পুরো জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রেখে মৌলবাদী চেতনা বাস্তবায়ন করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।
বিএনপির আমলে পাঠ্যবইয়ে জাতির জনকের নাম থেকে বঙ্গবন্ধু শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্বাধীনতার ঘোষণা ও তারিখ বিতর্কিত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় নেতাদের পরিচয়ের ব্যাপারে বৈষম্য তৈরি করা হয়। বিশেষ করে বাংলা, ইতিহাস, সমাজ, পৌরনীতি এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বই গুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ, এছাড়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শের-ই বাংলা এ.কে ফজলুল হকের জীবনী সঠিকভাবে আলোচনা করা হয়নি।
একই সাথে মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বিএনপির শাসনামলে পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায়নি।
কিন্তু কেন পাঠ্যপুস্তকে ভুল তথ্য ও ইতিহাস উপস্থাপন করেছিল বিএনপি?
কারণ একটি জাতিকে অথর্ব, অসহায় ও বিকৃত করে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন তার গৌরব গাঁথা ইতিহাসকে গোপন রাখা, আর যা খুব ভালোভাবেই করেছিল বিএনপি।
কিন্তু সত্য কখনো গোপন থাকে না। আর ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত যে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, তা কি করেই বা ঢেকে রাখবে বিএনপি?