সোনাগাজী প্রতিনিধিঃ অবশেষে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও সোনাগাজী মডেল থানার ও,সি ( তদন্ত) হারুনের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে জবর -দখলের অপচেষ্টা থেকে রক্ষা পেল প্রবাসীর সম্পত্তি।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ-তুলাতলী গ্রামের মৃত হোসেন আহমদ এর সম্পত্তিতে ৬ পুত্র সমান হারে মালিক। তারা একান্নে একই ভবনে বসঃবাস করে আসছে। বড় পুত্র সিরাজুল ইসলাম ব্যাতিত সবাই প্রবাসে থাকেন। পারিবারিকভাবে তাদের সম্পত্তির কোন ভাগ-বন্টন হয়নি। হোসেন আহমদের পুত্র প্রবাস ফেরত আবদুল হক বাদশা কতিপয় গ্রাম্য টাউট বাটপারের চক্করে পড়ে বন্টনের আগেই শরিকানদের অনুপস্থিতির সুযোগে নিজের মনগড়া মতে দামী জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে শরিকানদের পক্ষ থেকে বারবার বাধা দেয় এবং প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অাদালতে ১৪৫ ধারামতে আনীত মামলার গতকাল ৫ মার্চ শুনানীর ধার্য তারিখ ছিল। কিন্ত আবদুল হক গ্রাম্য টাউট চক্রের কু-প্ররোচনায় আদালতে হাজির না হয়ে আজ ৬ মার্চ সোমবার সকালে ২০/২৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিয়ে বে-আইনী ভাবে বাড়ীতে অনুপ্রবেশ করে এবং জোর পুর্বক বেইছ কাটার কাজ শুরু করে। হোসেন আহমদের বড় পুত্র সিরাজুল ইসলাম এবং প্রবাশী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমিন বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। আবদুল হক বাদশার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আক্রমনে উদ্যত হলে ফরিদা ইয়াছমিনসহ পরিবারের সদস্যগন প্রানভয়ে নিরাপদে সরে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার ও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদকে জানালে, পুলিশ সুপার এর সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
আপাতত রক্ষা পেল প্রবাসীর সম্পত্তি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যে কোন সময় আবারো সন্ত্রাসী হামলায় জানমালের ক্ষতিসহ অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ব্যাপারে বাদশা জানান, পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসতঘর নির্মানের চেষ্টাকালে অন্যান্য শরিকগণ বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে অালোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা বললে, তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়।