শেখ হাসিনা: বিশ্বে চতুর্থ কর্মঠ সরকার প্রধান

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিশ্ব সেরা ৫ জন কর্মঠ এবং পরিশ্রমী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর সর্বশেষ গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যেসব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান কঠোর পরিশ্রম করেন এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁর দেশে দৃশ্যমান উন্নতি করেছেন, তাঁদের কাজ পর্যালোচনা করে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে।

পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সের গবেষণা অনুযায়ী বিশ্বে সবচেয়ে পরিশ্রমী রাষ্ট্রপ্রধান হলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দ্বিতীয় পরিশ্রমী হিসেবে বিবেচনা তারা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর বিবেচনায় বিশ্বে তৃতীয় পরিশ্রমী রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বিশ্বের চতুর্থ কর্মঠ সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর পঞ্চম পরিশ্রমী সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কর্মঠ বা পরিশ্রমী বিবেচনার ক্ষেত্রে পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স ১০ টি মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে। এগুলো হলো: এক. একজন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান রাষ্ট্রপরিচালনায় কতক্ষণ সময় ব্যয় করেন। দুই. দিনে কতগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিন. এই সিদ্ধান্তের ফলে রাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীর ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে। চার. সহকর্মী বা অধ:স্তনদের কাজ তিনি তদারকি করেন কিনা। পাঁচ. সহকর্মী বা অধ:স্তনদের কাজের পরও তিনি বাড়তি কিছু যোগ করেন কিনা। ছয়. রুটিন কাজের বাইরে উদ্ভাবনীমূলক চিন্তা ও তার বাস্তবায়ন করেন কিনা। সাত. সাপ্তাহিক ছুটি নেন কিনা, নিলে সপ্তাহে কত দিন। আট. মাসিক ছুটি নেন কিনা, নিলে কতদিন। নয়. বাৎসরিক ছুটি নেন কিনা, নিলে কত দিন। দশ. তার (সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের) ব্যক্তিগত সময় কতটুকু। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সর্বোচ্চ নম্বর ১০ ধরা হয়েছে। আর সবচেয়ে কম ধরা হয়েছে শূন্য। একশর মধ্যে চীনের রাষ্ট্রপতি সর্বাধিক ৮৭ নম্বর পেয়েছেন। তবে, চীনের রাষ্ট্রপ্রধান সাপ্তাহিক ও বাৎসরিক ছুটি নেন। ছুটি নিলেও তাঁর সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের জনগণের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাঁর নেতৃত্বে চীন বিশ্বে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি। ৮৫ নম্বর পেয়ে ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। রুহানি শুক্রবার আধাবেলা ছুটি নেন। বছরে দুই ঈদে দুই দিন ছুটি ছাড়া কোনো ছুটি নেন না। রুহানি প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পরিশ্রম করেন। তালিকায় তৃতীয় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সপ্তাহে দুই দিন ছুটি নেন। তবে ছুটির দিনেও তাঁর কর্মসূচি থাকে। তাঁর সিদ্ধান্ত জনগণের ওপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তিনি মোট ৮৩ নম্বর পেয়েছেন।

৮০ নম্বর পেয়ে তালিকায় চতুর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করেন। সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন দিলেও, ছুটির দিনেও তিনি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা কাজ করেন। শেখ হাসিনা দিনে গড়ে ২৫ থেকে ৩০টি ছোট বড় সিদ্ধান্ত নেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করেন। ৭৮ নম্বর পাওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য রাষ্ট্রপরিচালনার চেয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সময় বেশি ব্যয় করেন। মোদি সাপ্তাহিক ছুটি নেন বছরে একদিন। ওই দিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করলেও সরকারি কিছু করেন না। মোদির দুর্বলতা হলো সহকর্মীদের কাজে তিনি খুব একটা তদারকি করতে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *