নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুধু বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচার নয়। সব দুর্নীতির বিচার করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মেয়াদে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়ে চলবেন তিনি। আওয়ামী লীগের মধ্যেও যারা দুর্নীতিবাজ তাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে- এমন মনোভাবই ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী তাঁর অবস্থান সুস্পষ্ট করবেন বলেও জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও সংহত অবস্থান গ্রহণের প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। জিয়া পরিবার ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যে বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে, সেগুলো উদ্ধোরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব অবৈধ অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির মামলাগুলো আটকে আছে সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় সব নেতার বিরুদ্ধেই একাধিক দুর্নীতির মামলা বছরের পর বছর ধরে আটকে আছে। আইন মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এই মামলাগুলোকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু অন্যদলের দুর্নীতিবাজ নয় নিজের দলের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নেবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচনের আগে যে ছোট মন্ত্রিসভা হবে তাতে শুধু ক্লিন মন্ত্রীদেরই ঠাঁই হবে। মনোনয়নের ক্ষেত্রেও ‘দুর্নীতি’ একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হবে। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দুর্নীতিত বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত রূপ দেখা যাবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর। এ সময় যদি আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে, দুর্নীতি মুক্ত একটি ক্যাবিনেট গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আওয়ামী লীগকেও দুর্নীতিমুক্ত করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
আর নির্বাচনের আগেও, যেসব মন্ত্রী এবং সংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযাগ আছে তার তাদের ডেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ সতর্কবার্তা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিকে দুর্নীতমুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ তিনি বলেন, ‘যেভাবে তিনি যুদ্ধপরাধীদের বিচার করেছেন ঠিক একইভাবে দুর্নীতিবাজদেরও বিচারে শেখ হাসিনা হবেন রোল মডেল।’ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা প্রধানমন্ত্রী ওই উপদেষ্টাকে বলেছেন। আর তার পথ তৈরি হয়েছে বেগম জিয়ার বিচারের মধ্যে দিয়ে।