নিজস্ব প্রতিবেদক : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি একজন চিহ্নিত দুনীর্তিবাজকে দলের চেয়ারপারসন করেছে। সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মানি লন্ডারিংয়ে তিনি ৭ বছরের দন্ডিত ব্যক্তি।জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে কেন ৭ (ঘ) ধারা তুলে দিয়েছে তা এখন পরিষ্কার। এর ফলে দুর্নীতিবাজদের তাদের নেতা হতে বাধা নেই।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাসে বিআরটিএ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মামলা সরকার করেনি, হস্তক্ষেপও নেই। বেগম জিয়া যদি নিয়মিত হাজিরা দিতেন তবে এ মামলার অনেক আগেই রায় হয়ে যেত। এখন তিনি নিজেই দেরি করে নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এজন্য বেগম জিয়া ও তার বিজ্ঞ আইনজীবীরাই দায়ী।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক সঙ্কট নয় বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ঘনীভূত হবে, সেটির লক্ষণ আমরা টের পাচ্ছি।
এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, বিআরটিএ প্রকল্পের পরিচালক সানাউল হক, গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএন নাহিন রেজাসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।