রাজবাড়ীতে ৩দিন ব্যাপী ইজতেমা শুরু, মুসল্লিতে মুখরিত কামাদিয়া ইজতেমা ময়দান

 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: আত্মশুদ্ধি এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে রাজবাড়ীতে প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে তিন দিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা।

 

এতে অংশ নিতে মধ্যেই জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজতেমা ময়দানে আসছেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।বুধবার থেকে তাদের পদচারণায় ময়দানের অনেকাংশ মুখর হয়ে উঠে।

 

১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বাদ ফজর ফরিদপুরের মাওলানা মেজবাউল করিম সাহেবের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ইজতেমা।রাজবাড়ী জেলা সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দনারায়নপুর গ্রামে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্র্ব পাশের মাঠে এ ইজতেমা শুরু হয়েছে।

৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম জাহানের এ সম্মেলন।ইজতেমায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন।

 

জেলা ইজতেমা কমিটির আহালে সুরা ফয়সাল (সিদ্ধান্ত প্রদানকারী) আব্দুল হাকিম তালুকদার জানান, তুরাগ নদীর তীরে স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে বিশ্ব ইজতেমার কমিটি ও সরকারের সিধান্ত অনুয়ারী রাজবাড়ীতে প্রথমবারের মতো এই ইজতেমার আয়োজন করেছেন জেলা ইজতেমা কমিটি। এ ইজতেমায় প্যান্ডেলের মধ্যে ৫৫ হাজার মুসল্লীর রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠে প্রবেশের জন্য দুইটি পথ রাখা হয়েছে। প্রধান প্রবেশপথ রাখা হয়েছে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আলীপুর টিটিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে দিয়ে। অন্য পথটি রাখা হয়েছে কামালদিয়া সড়ক দিয়ে পূর্ব পাশে।

 

তিনি আরও জানান, সাড়ে ২২ একর জামির ওপর আয়োজিত এ ইজতেমায় নামাজের জন্য ১৪৪টি কাতারের ব্যবস্থা রয়েছে। ইজতেমা মাঠে মুসল্লীদের জন্য ৬২০ টি টয়লেট, ২৫০টি প্রসাবখানা, তিনটি পুকুর ও ২৫০০ ওজুখানার ব্যবস্থা রয়েছে। আলোর জন্য ১২০০ লাইট লাগানো হয়েছে। বিদ্যুত চলে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। পানি সরবরাহের জন্য বসানো হয়েছে ১২টি পাম্প এবং ১৫টি টিউবওয়েল।

 

মাঠের উত্তর-দক্ষিণ প্রান্তের মাঝে বক্তব্য প্রদানের জন্য উঁচু একটি মঞ্চে তৈরী করা হয়েছে। ৮৫টি মাইকের মাধ্যমে শোনা যাবে ইজতেমা মাঠের নামাজ- মোনাজাত এবং বয়ান।

 

আব্দুল হাকিম তালুকদার আরও জানান, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত পরিচালনার ভাবনা রয়েছে। আখেরি মোনাজাতের দিন লক্ষাধিক মুসল্লীর সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. রহিম বকস জানান, ইজতেমা ময়দানে একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকছে। তারা তিনটি স্তরে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।

 

ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজবাড়ী জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের কে জানান, রাজবাড়ী জেলায় প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো ভাবেই তিন দিন ব্যাপী এই জেলা ইজতেমা সম্পন্ন হবে।জেলা পুলিশের পাশাপাশি আমর্ড পুলিশ, সাদা পোষাকে পুলিশ ইজতেমা মাঠে মুসল্লীদের নিরাপত্তার ব্যাপরে নিয়োজিত আছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *