এ বাশার চঞ্চল :
তাবৎ দুনিয়া আজ রাজনৈতিক সংঘাতে লিপ্ত। ধীরে ধীরে রাজনীতি যেন হয়ে উঠছে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের হাতিয়ার কোনো দেশের জনগণের সাথে কোনো দেশের জনগণের শত্রুতা নেই। যেন নেই কোনো দেশের সাথে দেশের বিরোধিতা।যত কোন্দল রাজনৈতিক।রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে বাংলাদেশ-ভারতের তিস্তাচুক্তি ঝুলে আছে বছরের পর বছর। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে ভোগ করতে হচ্ছে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি। রাজনৈতিক কোন্দলের নির্মম শিকার মায়ানমারের রোহিঙ্গা গোষ্ঠী। সে দেশের সেনাবাহিনী এবং উগ্র বৌদ্ধদের অব্যাহত নৃশংস নির্যাতনের ফলে দেশ ত্যাগী লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। মানবিক বিবেচনায় সাময়িক আশ্রয় দেয়া রোহিঙ্গা গোষ্ঠী এখন রাজনৈতিক পীড়নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরাশক্তিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও চলছে রাজনৈতিক খেলা। আমেরিকা-ইসরায়েলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ রাজনীতির টোপে শুধু ফিলিস্তিনিই নয় পুরো মধ্যেপ্রাচ্যের শান্তি বিঘি্নত হচ্ছে। অথচ রাজনৈতিক যোগাযোগ এবং আলোচনার মাধ্যমেই একটি দেশের সাথে অপর দেশের সখ্যতা গড়ে ওঠার কথা, যা রাজনীতিকে করবে
গৌরবোজ্জ্বল।বর্তমানে আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও এ থেকে আলাদা নয়। আশঙ্কার কথা যে, ব্যক্তিগত এবং স্বার্থগত কোন্দলের প্রতিশোধ
রাজনৈতিকভাবে নেয়ার প্রবণতা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ন্যাক্কারজনক দলাদলি চলছে তা রাজনীতিকে খুন করারই নামান্তর।
লেখক – নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলারদর্পন ডটকম।
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক –রাণীনগর প্রেস ক্লাব।