সৈয়দ মনির অাহমদ >> ফেনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ও সম্বাবনাময় সাগরস্নাত সোনাগাজী উপজেলা। যেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবি জহির রায়হান, শহীদ শহীদুল্যাহ কায়সার, নাট্যাচার্য সেলিম আল দ্বীন সহ বহু গুনি মানুষের জন্ম। সাগর ও নদী বেষ্টিত সোনাগাজীতে নির্মানাধিন দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক অঞ্চল, বায়ু ও সৌর বিদ্যুত প্রকল্প, প্রস্তাবিত বীজ সংরক্ষণাঘর, নৌবন্দর ও বিমান বন্দর। সার্বিক বিবেচনায় এসব উন্নয়ন প্রকল্পে গতিশীলতা অানয়নে যোগ্য ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বের প্রয়োজন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (সোনাগাজী -দাগনভুঞা) আসনে তৃণমুলে জনপ্রিয় নেতাকে নৌকা প্রতিকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের তৃণমুল নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী এবিএম তালেব আলীকে মাত্র সাড়ে ৩হাজার ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করেছিল বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুল আলম তারা। সে নির্বাচনে তৎকালীন জেলা অা’লীগ নেতারা সরাসরি নৌকার বিরোধিতা করেছিল। যার কারনে অাওয়ামীলীগ অধ্যুষিত সোনাগাজীতে জনপ্রিয় ও তিনবারের নির্বাচিত সাংসদ তালেব অালী পরাজিত হয়েছিলেন।
১৯৯১-৯৬পর্যন্ত তারা মিয়ার দমন নিপিড়নে ঘরছাড়া হয়েছিল হাজার হাজার আ’লীগ নেতাকর্মী। সে থেকে এ অাসনে আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি অাওয়ামীলীগ। ১৯৯৬-২০১৩পর্যন্ত এ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপি মনোনীত শিল্পপতি মোশারফ হোসেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সোনাগাজী ও দাগনভুঞায় আ’লীগের প্রার্থী আবুল বাশার প্রায় ৯৩হাজার ভোট পেয়েছিলেন । ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারীর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থী না থাকায় মহাজোট প্রার্থী রিন্টু আনোয়ারকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন আ’লীগের বিদ্রোহি প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ।
বর্তমানে প্রচার প্রচারনা ও গণসংযোগ করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল অানাম, জেলা অা’লীগের সহ সভাপতি আক্রাম হোসেন হুমায়ুন, সোনাগাজী উপজেলা অা’লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন ও আওয়ামী মহিলালীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী।
সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও দু’বার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জেড.এম কামরুল অানাম বলেন, তৃণমুলে রাজনীতি করতে গিয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়। যে সম্পর্কের কারনে দলের ত্যাগী ও মুল ধারার নেতাকর্মীকে মুল্যায়ন করা যায়। পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকার অবকাঠামোগত সমস্যা নিশ্চিত করণ, সম্বাবনা কাজে লাগানো ও সমাধান করা সহজ হয়। কেন্দ্রীয় ও প্রবাসে রাজনীতি করা নেতার পক্ষে যা সম্ভব নয়।
দাগনভুঞা উপজেলা অা’লীগের সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিন বলেন ,দাগনভুঞা ও সোনাগাজী উপজেলা আ’লীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমর্থণ যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতবে।
উপজেলা অা’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে সোনাগাজী উপজেলা অা’লীগ ঐক্যবদ্ধ। তৃণমুল থেকে যাচাই করে প্রার্থী দিলে অবশ্যই জয়লাভ করবে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী।
নবাবপুর ইউনিয়ন অা’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনে জিততে হলে অবশ্যই তৃণমুলে যাচাই করে প্রার্থী দেয়া দরকার।নির্বাচন অাসলে অনেককে এলাকায় ঘুরতে দেখি কিন্তু নির্বাচন শেষে ৫বছর তাদের দেখা যায়না। নেতাকর্মীরা অভিভাবকহীন থাকে। দলের নেতাকর্মীরা নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়েও ওইসব নেতাদের কাছে পায়না। দলের নেতাকর্মী এবং জনগণ যাদেরকে নিয়মিত কাছে পায়, তাদেরকেই প্রার্থী দেয়া দরকার।
উপজেলা অা’লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ দীন মোহাম্মদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে আ’লীগ অধ্যুষিত এলাকা ছিল সোনাগাজী উপজেলা । এ অাসন পুনরুদ্ধার করতে কর্মীবান্ধব একজন জননেতাকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় তৃনমুলের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, জেলা ও উপজেলা অা’লীগ এবং সহযোগি সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পছন্দের প্রার্থী দিলে অবশ্যই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসন পুনরুদ্ধার করতে পারবে আওয়ামীলীগ।
#বাংলারদর্পন।