শান্তি চুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট :

পার্বত্যাঞ্চলসহ দেশের কোনো এলাকা পিছিয়ে থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সরকার সব এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নেও কাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অঞ্চল বলে কোনো এলাকা পিছিয়ে থাকবে না। সারাদেশে যেন সুষম উন্নয়ন হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

২০ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় রক্তক্ষয়-সংঘাত ছিল। এই সংঘাতের কারণ-সমস্যা চিহ্নিত করেই আওয়ামী লীগ শান্তি চুক্তি করে। শান্তি চুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে, বাকিটাও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। ভূমি কমিশন করে পার্বত্য এলাকার জমি সমস্যার সমাধান করে এখানে ফল ও সবজি চাষ করে সেগুলো রপ্তানি করার চেষ্টা করতে হবে।

২১জানুয়ারী রোববার  রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদী ‘সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পে’র (তৃতীয় পর্যায়) অধীন মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানির মতো মৌলিক সামাজিক সেবা নিশ্চিত করার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ৪ হাজারতম পাড়াকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। পাড়া কেন্দ্র তৈরি করার ফলে যেসব মা ও শিশুরা উপকৃত হয়েছেন তাদের বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, আগের সরকারগুলো সমতল ভূমি থেকে মানুষদের সেখানে নিয়ে সংঘাত উস্কে দিয়েছিল। কিন্তু শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এই সংঘাতের পথ বন্ধ করে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমলের আইন নয় যুগোপযোগী আইন দিয়েই পাহাড়িদের জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হবে। আমরা চাই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভূমির মালিকানা তার নিজের থাকবে। এই অঞ্চলের উন্নয়ণের জন্য আমরা রুমা থেকে থানচি সেতু করতে গিয়ে, বিদ্যুতের জন্য গ্রিড লাইন তৈরি করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘চাকমা, মারমা ত্রিপুরা ভাষায় যে অক্ষর আছে, আমরা সেই অক্ষরে তাদের নিজস্ব ভাষায় বই ছাপিয়ে দিয়েছি। পাহাড়ে শিক্ষাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।’

ঢাকার বেইলি রোডে পাবর্ত্য এলাকার মানুষদের জন্য কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে তাদের জন্য প্রশাসনিক ভবন ডরমেটরিসহ সব করা হবে। ঢাকায় কাজে আসলে সেখানে পার্বত্য এলাকার লোকজন স্বল্পখরচে থাকতে পারবেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেমন ঘরবাড়ি হয় তেমন দৃষ্টিনন্দন হবে এই কমপ্লেক্স।’

তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে যেন মাদক উৎপাদন না হয়। পপির বদলে সেখানে পাহাড়ি ফলের চাষ করুন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *