চট্টগ্রাম ব্যুরো :
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রা্প্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ একান্ত বৈঠক করেছেন।
আজ বুধবার দুপুরে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন ছিলেন।
ছাত্রলীগের মহানগর, উত্তর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন করে দ্রুত নতুন কমিটি করতে একমত হয়েছেন। এছাড়া বৈঠকে ছাত্রলীগ যাতে মূল দলের নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।এনামুল হক শামীম সাংবাদিকদের জানান, “ছাত্রলীগ নিয়ে বসেছিলাম।
কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি মহানগর এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সম্মেলন যাতে সুন্দরভাবে হয় এবং স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির সংগঠক দিয়ে যাতে নতুন কমিটি হয়, সেই বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি।”চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, “ছাত্রলীগ যাতে মূল দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থেকে সুন্দরভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নিয়ে বৈঠকটি করেছেন।”এম এ সালাম জানান, “উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। সার্বিকভাবে ছাত্রলীগের মধ্যে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না থাকে, সেই বিষয়টা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।”
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমরা ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করেছিলাম। যেহেতু শামীম ভাই আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বসে ২৪ ফেব্রুয়ারি বলছেন, আমরা ওই তারিখেই সম্মেলন করব। “বৈঠকে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে মোছলেম উদ্দিনকে বলা হয়েছে। উত্তরের সম্মেলন যাতে নির্বিঘ্নে সুশৃঙ্খলভাবে হয়, সেটি দেখভাল করার জন্য এম এ সালামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।