২০১২ সালের পরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে – মার্কিন রাষ্ট্রদূত 

 

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট (গং. গধৎপরধ ঝঃবঢ়যবহং ইষড়ড়স ইবৎহরপধঃ) ১৬ জানুয়ারি দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে এ সময় সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম ও পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এম.এ. সালাম, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও ডা. মঈনুল ইসলাম, উইমেন চেম্বারের সহ-সভাপতি মুনাল মাহবুব, জাপানের অনারারী কনসাল জেনারেল নুরুল ইসলাম, ফিলিপাইনস্ এর অনারারী কনসাল এম. এ. আউয়াল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান হুমায়ুন কবির বক্তব্য রাখেন। এ সময় সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এম. এ. মোতালেব, সরওয়ার হাসান জামিল, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), মোঃ জাহেদুল হক, এস. এম. শামসুদ্দিন, হাসনাত মোঃ আবু ওবাইদা ও মুজিবুর রহমান, দূতাবাসের ডেপুটি  পলিটিক্যাল/ইকনোমিক চীফ এলেন ওয়াং (গং. ঊষষবহ ডড়হম), ইকনোমিক অফিসার ইভারসন লং (গৎ. ওাবৎংড়হ খড়হম), ইপিবি’র পরিচালক কঙ্কন চাকমা, বিডা’র উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আমেরিকান রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন- ইকনোমিস্ট পত্রিকার ভাষ্যমতে ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোন দেশে হয়নি। ২০১৬-২০১৭ সালে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে  যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী এবং একক হিসেবে বাংলাদেশ হতে সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ । বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশী শ্রমিক কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে কৃষি, আইটি, নারী উন্নয়নে আরো সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের আরো বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা উচিত বলে মনে করেন।

 

চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন- ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যি ৬.৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি সম্ভাবনাময় খাত যথা পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, ঔষধ, প্লাস্টিক, সিরামিক ইত্যাদিতে বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানান। মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে বে-টার্মিনালে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি।

 

সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন-সম্প্রতি বাংলাদেশ বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে। তিনি ব্লু ইকনোমির সদ্ব্যবহারে টেকনোলজি ও হেভী ইকুইপমেন্টসহ মার্কিন কোম্পানীর যৌথ বিনিয়োগের অনুরোধ জানান। অন্যান্য বক্তারা জিএসপি পুনর্বহাল, দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা, আমেরিকার সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা মোকাবেলার লক্ষ্যে যৌথ গবেষণা পরিচালনা, বহুমূখী পরিবহনে কারিগরি সহায়তা এবং শঙ্খ নদীর মুখ থেকে বঙ্গপোসাগরের তীর ঘেঁষে ফেনী পর্যন্ত বন্দর নির্মাণে মার্কিন সহযোগিতা কামনা করেন। সভা শেষে রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত পারমানেন্ট এক্সিবিশন হলে বাংলাদেশী রপ্তানি পণ্যের সু-কেইস পরিদর্শন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *