ডেস্ক রিপোর্ট : পার্বত্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় এক এসএসসি পরিক্ষার্থীকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় স্থানীয় বখাটে। আর এ অপমান সইতে না পেরে বিষ পানে আত্নহত্যার চেষ্টা চালায় ভুক্তভুগি পরিক্ষার্থী।
গুইমারা উপজেলার বড়পিলাকের পাঁচ নম্বর নামক জায়গার বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলামের মেয়ে ও শহীদ লে. মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের পরিক্ষার্থী আনোয়ারা হাবিবা(১৫) গত ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেল আনুমানিক ৪টায় স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে বাড়ির পাশে পাহাড়ের নিচে গোসল করতে যায়, সেখানে সে তার গোসল শেষ করে কাঁপড় পরিবর্তনের সময় পূর্বে থেকে ওত পেতে থাকা স্থানীয় বখাটে মো.শাহপরান(২৭) সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘটনার আকষ্মিকতায় হাবিবা চিৎকার দেয়। তাঁর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী জমিতে কাজ করতে থাকা লোকজন ছুটে আসে, তখন বখাটে শাহপরাণ সবার সামনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বখাটে শাহপরাণ একই এলাকার মো.শাহজাহান গাজির ছেলে।
হাবিবার পরিবার লোকলজ্জা ও আত্নসম্মানের ভয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানিয়ে বখাটের বাবাকে বলে তার ছেলেকে শাসন করতে। কিন্তু বখাটের পরিবার ছেলেকে শাসন না করে উল্টো প্রশ্রই দিতে থাকে।
এদিকে ঘটনা লোকমুখে জানাজানি হয়ে যায়, এতে ভিকটিম হাবিবা লোকলজ্জার ভয়ে গত ১জানুয়ারী বিষপান করে। তাৎক্ষনিক তাঁর পরিবার তাঁকে মুমূর্ষ অবস্থায় মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
হাবিবার বড় ভাই মো. সালাউদ্দিন (২৭) দৈনিক সময় সংবাদকে ঘটনার বর্ণনা দেয়ার সময় বখাটে শাহপরানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থ্যি দাবী করে বলেন এমন ঘটনা যাতে আর কোন বখাটে কোন মেয়ের সাথে করার সাহশ নাপায়।
এদিকে এ ঘটনার ব্যাপারে গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যা উশেপ্রু মার্মা বলেন, আমার উপজেলার শহীদ লে. মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হাবিবা বিষ খেয়েছে জানতে পেরে সাথে সাথে আমি হাসপাতাল গিয়ে তার খোজ নিয়েছি। কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁর অবস্থা এখনো ঝুকিমুক্ত নয় বলে জানায়। আমি তার চিকিৎসায় যাতে কোন রকম অবহেলা নাহয় সে ব্যাবস্থা করেছি। প্রয়োজনে আমি তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দেবো।
এবং যে বখাটের কারনে হাবিবা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তাকে ধরার জন্য থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন টিটো জানান, আমরা এঘটনায় শাহপরানকে গ্রেফতার করেছি। এখনো পর্যন্ত হাবিবার পরিবার মামলা করেনি।
উল্লেখ্য বখাটে শাহপরান এর আগেও স্থানীয় এক মেয়ের গোসলের নগ্ন ভিডিও ধারন করায় সামাজিক বিচারে ঐ মেয়ের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। নিজ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারাসহ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।